কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: অপরাধী শনাক্তকরণ বিলে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন মিলল। সোমবার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ওই বিলে (Criminal Identification Bill) সই করেছেন। এর ফলে বিলটি আইনে পরিণত হল। সম্প্রতি লোকসভা এবং রাজ্যসভায় বিরোধীদের আপত্তি সত্ত্বেও অপরাধী শনাক্তকরণ বিল ধ্বনী ভোটে পাশ হয়ে যায়। বিরোধীদের মতে, এর ফলে ব্যক্তিস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ ঘটবে এবং এই আইনে যথেচ্ছ অপপ্রয়োগ ঘটবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিরোধীদের আশ্বস্ত করে বলেন, এই আইনের কোনও অপপ্রয়োগ হবে না। তদন্তের সুবিধার্থেই এই বিল আনা হয়েছে।
নয়া আইনের ফলে যে কোনও অপরাধী, আটক হওয়া বা গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তির শারীরিক নমুনা সংগ্রহ করতে পারবেন তদন্তকারীরা। চোখের মণি, হাত ও পায়ের ছাপ সহ বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করা যাবে। সেইসব নমুনার বিভিন্ন তথ্য ৭৫ বছর ধরে সংরক্ষণ করা যাবে। এই আইনে নমুনা সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হেড কনস্টেবলকে। পুরনো আইনে এএসআই পদমর্যাদার কোনও তদন্তকারী নমুনা সংগ্রহ করতে পারতেন।
President gives assent to Criminal Procedure(Identification) Act 2022. pic.twitter.com/W75rm7kKvd
— Live Law (@LiveLawIndia) April 19, 2022
১৯২০ সালের অপরাধী শনাক্তকরণ আইনে বিশেষ শ্রেণির বন্দিদের ক্ষেত্রে হাত ও পায়ের ছাপ নেওয়া যেত। নতুন আইনে যে কোনও অপরাধীর হাতের ও পায়ের ছাপ ছাড়াও চোখের মণি এবং শরীরের যে কোনও অংশের নমুনা সংগ্রহ করা যাবে।
আরও পড়ুন: India Covid Update: ক্ষণিকের স্বস্তি? দেশে কমল দৈনিক করোনা সংক্রমণের হার
বিরোধীদের অভিযোগ, নয়া আইনের ফলে গ্রেফতার হওয়া যে কোনও অপরাধীর অপরাধ শনাক্ত হওয়ার আগেই তাঁর ব্যাপারে সমস্ত তথ্য সরকারের হাতে চলে যাবে। এই আইনে ব্যক্তি স্বাধীনতাকে খর্ব করার সমস্তরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই কারণেই সংসদের দুই কক্ষে বিল পেশের পরই বিরোধীরা এতে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিলেন। তাঁদের আপত্তি অগ্রাহ্য করেই সরকার সংখ্যাধিক্যের জেরে বিল পাশ করিয়ে নেয়।