নয়াদিল্লি: হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রা ঘিরে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে শনিবার সন্ধের পর থেকেই অশান্ত হয়ে উঠেছিল দিল্লির জাহাঙ্গিপুরী৷ সোমবার তার ১০০ মিটারের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াল৷ অভিযুক্তের এক আত্মীয়কে জেরা করতে এ দিন পুলিস জাহাঙ্গিরপুরী যায়৷ এলাকায় পুলিস দেখেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন স্থানীয়দের একাংশ৷ তাঁরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন৷ ভিড়ের মধ্যে থেকে পাথর ছুড়ে মারা হয় পুলিসকে৷
শনিবার দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে চলে গুলি৷ গুলিবিদ্ধ হন দিল্লি পুলিসের সাব ইনস্পেক্টর মেধালাল মীনা৷ ওই ঘটনায় আসলাম নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিস৷ ধৃতের কাছ থেকে একটি দেশি পিস্তল পাওয়া যায়৷ পুলিসের দাবি, ওই পিস্তল দিয়েই গুলি করা হয়েছিল৷ এ ছাড়া আনসার নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়৷ অভিযোগ, সংঘর্ষের দিন মসজিদের সামনে কয়েকজনকে জড়ো করে শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে ঝামেলা পাকায় সে৷ সেই ঝামেলার পরই দু’পক্ষ একে অপরকে পাথর ছুড়ে মারতে থাকে৷
পুলিসের উপর সে দিন যে গুলি চালিয়েছিল তারই আত্মীয়কে জেরা করতে এ দিন জাহাঙ্গিরপুরী যায়৷ কিন্তু সেখানে মহিলাদের বাধার মুখে পড়তে হয়৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া বিভিন্ন ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, ৫০ জন মহিলা পুলিসকে দেখে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন৷ তারপরই ধেয়ে আসতে থাকে পাথর৷ দেখা যায়, বাড়ির ছাদ থেকে অনেক মহিলা পুলিসকে লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মারছেন৷ পুলিস এলাকাটি ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলে৷ ডাকা হয় মহিলা পুলিস, ব়্যাপিড অ্যাকশন ফোর্স এবং আধা বাহিনী৷
আরও পড়ুন: Asish Mishra: কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলে আশিসের জামিন বাতিল, সুপ্রিম কোর্টকে ধন্যবাদ লখিমপুরের কৃষকের
দিল্লির পুলিস কমিশনার রাকেশ আস্থানা জানিয়েছেন, জাহাঙ্গিরপুরীর সংঘর্ষের ঘটনায় দুই সম্প্রদায়ের মোট ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ ধৃত আটজনের বিরুদ্ধে অপরাধের রেকর্ড খুঁজে পাওয়া গিয়েছে৷ কেউ দোষী সাব্যস্ত হলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ ধর্ম, জাত, সম্প্রদায় কিছুই দেখা হবে না৷