কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে একাধিক বেফাঁস মন্তব্য করায় বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর দায়ের। রবিবার রাতে বনগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন জেলা তৃণমূল সভাপতি গোপাল শেঠ। অনুব্রত মণ্ডলকে বিষ ইঞ্জেকশনে মেরে ফেলতে পারে তৃণমূল, রবিবার গাইঘাটা থেকে এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করেছিলেন বিজেপি বিধায়ক। তিনি বলেন, অনুব্রত সিবিআইয়ের মুখোমুখি হলে তৃণমূলের সব কুকীর্তি সামনে চলে আসবে। তাই তাঁকে মেরে ফেলা হতে পারে বলে মত স্বপনের।
থানায় এফআইআর দায়ের করার পর গোপাল শেঠ বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এবং অনুব্রত মণ্ডল নিয়ে স্বপন মজুমদার যে মন্তব্য করেছেন, তারপর আমাদের মনে হয়েছে বিজেপি এমন ঘটনা ঘটাতে পারে। তাই আমরা চাই প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা নিক। যে ঘটনার কথা সিবিআই জানেনা, সেকথা বিজেপি কীভাবে জানল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জেলা সভাপতি।
রবিবার গাইঘাটায় চালুন্দিয়া নদী বাঁচাও অনুষ্ঠানে সামিল হয়েছিলেন বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার। সেখানে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, বীরভূমের বগটুই-কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড অনুব্রত মণ্ডল এখন পেট ফুলিয়ে উডবার্ন ওয়ার্ডে শুয়ে আছে। আমার তো মনে হয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওই উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে তাঁকে আর ফিরতে দেবেন না। কারণ, অনুব্রত ফিরলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের সব কুকীর্তি উগরে দেবেন সিবিআইয়ের কাছে। সিবিআই জানতে পারলে ভাইপো, পার্থ চট্টোপাধ্যায় সকলে জেলে যাবে।
আরও পড়ুন: Corona Upadtes: একধাক্কায় ৯০ শতাংশ বাড়ল দেশে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
স্বপন মজুমদার আরও বলেন, হাইকোর্ট রায় দিয়েছে উডবার্ন ওয়ার্ডে আর ভর্তি হওয়া চলবে না। এরপর পাবলিক গণধোলাই দিয়ে বের করে দেবে সবাইকে। অনুব্রত মণ্ডল ভাবছেন, উডবার্নের বেডে শুয়ে সিবিআইয়ের হাত থেকে বেঁচে যাবেন। কিন্তু তা হবে না। আগামিদিনে অনুব্রতকে সিবিআইয়ের দরজায় যেতে হবে, না হলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিষাক্ত ইঞ্জেকশনে মরতে হবে। কারণ, তৃণমূল ক্ষমতায় থাকতে সবকিছু করতে পারে।