ঝালদা: ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনে অভিযুক্ত নরেন কান্দু ও সত্যবান প্রামাণিকের বাড়িতে সিবিআইয়ের হানা। শনিবার শহরের দুটি ব্যাঙ্কের কয়েকজন কর্মীকে নিয়ে ওই দুজনের বাড়ি যান সিবিআই আধিকারিকরা। দুবাড়ি থেকেই বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্কের পাশবই বাজেয়াপ্ত করা হয়। সিবিআইয়ের প্রাথমিক অনুমান, খুনের ব্যাপারে যে টাকা লেনদেন হয়েছে, সে ব্যাপারে কিছু তথ্য পাওয়া যেতে পারে ওই পাশবইয়ে। এছাড়া সিবিআই হেফাজতে থাকা আসিফ খানের গ্রামের বাড়ি থেকে একটি মোপেডও বাজেয়াপ্ত করা হয়। সেই মোপেডটি নিয়ে আসা হয় সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে।
সিবিআই সূত্রের খবর, ঘটনার দিন ওই মোপেডে চেপেই আসিফ এক অভিযুক্তকে তাঁর গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানেই দুজনে দুপুরের খাবার খায়। পরে ওই বাড়িতে মোটরসাইকেলে চেপে আসে আরও দুই যুবক। তাতে কলেবর সিং ছাড়াও জয়ন্ত সিং নামে আর একজন ছিল। এখন জয়ন্তকে খুঁজে বেড়াচ্ছে সিবিআই। কলেবর আগেই ধরা পড়েছে।
১৩ মার্চ সন্ধেয় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর। বিকেলে হাঁটার সময় ঝালদা-বাগমুন্ডি রোডের উপরে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। গোকুলনগর গ্রামের কাছে উল্টো দিক থেকে আসা একটি বাইকে আসা ৩ জন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য গুলি করে। তাঁর পেটে গুলি লাগে। রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তপন। এরপর দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: Ballygunge CPM: বালিগঞ্জে দ্বিতীয় বাম, ভোট বাড়ল ২৫ শতাংশ, কমল বাকিদের
প্রথমে ঝালদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঝাড়খণ্ডের রাঁচির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তপনবাবুর মৃত্যু হয়। যদিও এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা না রেখে প্রথম থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে এসেছে নিহতের পরিবার। শেষ পর্যন্ত সিবিআই তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে যায় তপন কান্দুর পরিবার। হাইকোর্ট ৪ এপ্রিল সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়।