ঝালদা: দ্বিতীয় দফায় ফের সিবিআই জিত্রাসাবদের মুখে ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষ। বৃহস্পতিবার দীর্ঘ সাড়ে তিন ঘণ্টা নাগাড়ে সিবিআই অফিসাররা জিত্রাসাবাদ করেন সঞ্জীবকে। ঝালদা ফরেস্ট গেস্ট হাউসে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে এদিনই প্রথম আইসি হাজিরা দেন। জিজ্ঞাসাবদের পর গম্ভীর মুখে তিনি গাড়ি চেপে চলে যান। সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের জবাবও দেননি সঞ্জীব। বিকেলে আবার তাঁকে ওই গেস্ট হাউসে ঢুকতে দেখা যায়। তাঁর দ্বিতীয় দফায় সিবিআই ক্যাম্পে আসা নিয়ে এলাকায় জোর গুঞ্জন শুরু হয়েছে। জল্পনা চলছে, তবে কি সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করবে।
১৩ মার্চ সন্ধেয় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর। এরপর থেকেই তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষের নামে জেলা পুলিস সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পুর নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই ঝালদা থানার আই সি সঞ্জীব ঘোষ নানান ভাবে তাঁকে ও তাঁর স্বামীকে চাপ দিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। এমনকী তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলে যোগদান করার জন্য তাঁদের চাপ দেওয়া হয়। ঘটনার পর আইসির বেশ কয়েকটি অডিয়ো ভাইরাল হয়। তারপর থেকেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল তাঁর বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়। এমনকী তাঁকে গ্রেফতার করার দাবিও জানানো হয়।
আরও পড়ুন: Anubrata Mondal: অনুব্রত মণ্ডলকে দেখতে এসএসকেএমের উডবার্ন ওয়ার্ডে শতাব্দী রায়
এর আগে তপন কান্দু খুনের ঘটনার দিন টহলরত ঝালদা থানার পাঁচ পুলিস কর্মীকে ডেকে পাঠায় সিবিআই। ওই পাঁচজনকে ঘটনার পরে পরেই ক্লোজ করা হয়। একই সঙ্গে সিবিআইয়ের বেস ক্যাম্পে শনিবার আসেন ঝালদার এসডিপিও সুব্রত দেব। সিবিআইয়ের ডিআইজি অখিলেশ সিং আধিকারিকদের নিয়ে গোকুলনগর গ্রামে যান। ঘটনার দিন পুলিশকর্মীরা কোথায় কর্মরত ছিলেন? বাইকে থাকা তিন দুষ্কৃতীকে কি তারা দেখেছিলেন? ওই সড়কপথ কোন দিকে গিয়েছে? আশেপাশে কোন কোন গ্রাম আছে, তা জানতে চান ডিআইজি।