ডায়মন্ড হারবার: ডায়মন্ড হারবারের এক বেসরকারি হোটেল থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার ঠাকুমা ও নাতনি। ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে নাতনিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ঠাকুমা। ঘটনা নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। পুলিস জানায়, ওই ঘর থেকে বেশকিছু ঘুমের ওষুধ পাওয়া গিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা নাগাদ বারাসতের নবপল্লি এলাকার বাসিন্দা ধীমান আইচ তাঁর মা আভা আইচ ও মেয়ে সোহিনীকে নিয়ে ডায়মন্ড হারবারের একটি হোটেলে ওঠেন। বেলা ১০টা নাগাদ ধীমান হোটেল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় হোটেলের রিসেপশনে তাঁদের রুমে টিফিন পৌঁছে দিতে বলেন। এরপরে ধীমানের ফিরতে দেরি হওয়ায় হোটেলের সার্ভিস বয় রুমে খাবার দিতে গিয়ে দেখেন, ভিতর থেকে দরজা বন্ধ। অনেক ডাকাডাকি করলে কোনও সাড়া মেলেনি। খবর দেওয়া হয় পুলিসকে। ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিস এসে রুমের দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকে। ভিতরে ঢুকতেই দেখা যায়, বিছানায় অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন আভা এবং তাঁর ১৬ বছরের নাতনি সোহিনী। দুজনকে ডায়মন্ড হারবার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিস। সেখানে সোহিনীকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ধীমানের খোঁজ মেলেনি।
আরও পড়ুন: Adhir On Governor: রোজ রোজ জ্ঞান দিচ্ছেন, রাজ্যপালকে তীব্র কটাক্ষ অধীরের
ঘটনার পর ডায়মন্ড হারবারের এসডিপিও মিতুন কুমার দে তদন্তে আসেন হোটেলে। তিনি হোটেল কর্তৃপক্ষ এবং কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন। পুলিসের প্রাথমিক অনুমান, ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মঘাতী হতে যান ঠাকুমা এবং নাতনি। সোহিনী মারা গেলেও আভার অবস্থা সংকটজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। পুলিস জানিয়েছে, ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। ধীমানের ভূমিকাকে সন্দেহের বাইরে রাখছে না পুলিস। তাঁর খোঁজ চলছে।