হাঁসখালি: মঙ্গলবার সকালে কৃষ্ণগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক আশিস বিশ্বাস ও তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র হাঁসখালি আসেন। তাঁরা নির্যাতিতার বাড়িতেও যান। বিজেপি বিধায়ক বলেন, গাজনা গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামনগর গ্রামে যে শ্মশানটি রয়েছে সেখানে ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়া আগেও মৃতদেহ সৎকার হয়েছে। উল্লেখ করা যায়, এই শ্মশানটি প্রয়াত তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাসের বিধায়ক এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকায় নির্মিত।
আরও পড়ুন: Jhalda Murder Eyewitness: কান্দু খুনের প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন-মৃত্যু তদন্তে সিবিআই
তৃণমূল সাংসদ পুলিসের ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, এটা উত্তরপ্রদেশ বা মধ্যপ্রদেশ নয়। এখানে দুষ্কৃতীর পকসো আইনে সাজা হবে। ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়া মৃতদেহ সৎকারের বিষয়ে মহুয়া গ্রামাঞ্চলে নথিভুক্ত নয়, এমন শ্মশানের অস্তিত্ব মেনে নেন। তাঁর দাবি, পুলিসের তদন্ত প্রক্রিয়া সঠিক পথেই এগচ্ছে। যদিও এদিন তিনি কিশোরীর দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য বাবা-মাকেই দায়ী করেন। এও বলেন, ধামাচাপা দিতেই তড়িঘড়ি বাবা-মা দেহ পুড়িয়ে দিয়েছেন। এটা অত্যন্ত ভুল কাজ হয়েছে। তবে, দুষ্কৃতীর কোনও নিস্তার নেই। দুষ্কৃতীর কোনও রাজনৈতিক পরিচয় হয় না, জোরের সঙ্গে এই দাবি করে মহুয়া বলেন, এটা ধিক্কারজনক কাজ। এটাকে নিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।
আরও পড়ুন: Bhadu Sheikh Murder: ভাদু খুনের তদন্তে বগটুইয়ে সিবিআইয়ের ফরেনসিক দল
এদিনই দুপুরে নির্যাতিতা নাবালিকার বাড়িতে রাজ্য নারী ও শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের চেয়ারপার্সন অনন্যা চক্রবর্তীও আসেন। তিনি মেয়েটির বাড়ি এবং প্রতিবেশীদের কথা বলেন। পুলিসের কাজের প্রশংসা করলেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য প্রসঙ্গে কিছু বলতে অস্বীকার করেন তিনি।
এদিন দুপুরের পর বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিকেলে লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর চৌধুরির গ্রামে আসার কথা রয়েছে।