কলকাতা: হাঁসখালির ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যে বিতর্ক। সেই বিতর্কের জল গড়াল হাইকোর্টে। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘হাঁসখালির ঘটনা খারাপ। গ্রেফতার করা হয়েছে। একটা মেয়ে নাকি ধর্ষিতা হয়ে মারা গিয়েছে? ধর্ষিতা বলবেন নাকি অন্তঃসত্ত্বা? শুনেছি, ছেলে-মেয়ে দুটোর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমি পুলিশকে বলেছি, ঘটনাটি কী দেখতে?’ মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে চিঠি দিলেন আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়।
চিঠিতে সব্যসাচী লিখেছেন, রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান একজন নাবালিকার চরিত্র নিয়ে মন্তব্য করছেন। শিশু সুরক্ষা আইন লঙ্ঘন করেছেন। একজন নির্যাতিতার সম্পর্কে কী করে এসব কথা বলেন তিনি? আদালত স্বতঃপ্রণোদিত মামলা গ্রহণ করুক। এই ঘটনায় সঙ্গে হাথরসের ঘটনার তুলনা করা যায় বলেও দাবি করেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘মেয়েটি মারা গিয়েছে ৫ তারিখে। অভিযোগ জানানো হয়েছে ১০ তারিখে। যদি কারও কোনও অভিযোগ থাকে তবে ৫ তারিখে অভিযোগ দায়ের করলেন না কেন?’
৪ এপ্রিল হাঁসখালির ওই নাবালিকাকে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে। রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় তার। ভোরে মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, নাবালিকাকে কোনও হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি। জোর করে দেহ স্থানীয় শ্মশানে দাহ করিয়ে দেন ওই তৃণমূল নেতা এবং তাঁর অনুগামীরা। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরও পুলিস দ্রুত পদক্ষেপ করেনি। পরে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত ব্রজগোপাল গোয়ারীকে। আরও একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।