কলকাতা: হাঁসখালিতে নাবালিকার মৃত্যু নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে এই ঘটনায় সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। মমতা বলেন, হাঁসখালির ঘটনা খারাপ। গ্রেফতার করা হয়েছে। একটা মেয়ে নাকি ধর্ষিতা হয়ে মারা গিয়েছে? ধর্ষিতা বলবেন নাকি অন্তঃসত্ত্বা? শুনেছি, ছেলে-মেয়ে দুটোর মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমি পুলিশকে বলেছি, ঘটনাটি কী দেখতে?
ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে কেন অভিযোগ জানানো হয়নি কেন, সেই প্রশ্নও তোলেন মমতা। তিনি বলেন, ‘মেয়েটি মারা গিয়েছে ৫ তারিখে। অভিযোগ জানানো হয়েছে ১০ তারিখে। যদি কারও কোনও অভিযোগ থাকে তবে ৫ তারিখে অভিযোগ দায়ের করলেন না কেন?’ তড়িঘড়ি নাবালিকার দেহ পুড়িয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। এই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘কাউকে কিছু না জানিয়ে নির্যাতিতার দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন কীভাবে এর তদন্ত করবে পুলিশ?’
৪ এপ্রিল হাঁসখালির ওই নাবালিকাকে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে। রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় তার। ভোরে মৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, নাবালিকাকে কোনও হাসপাতালে নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি। জোর করে দেহ স্থানীয় শ্মশানে দাহ করিয়ে দেন ওই তৃণমূল নেতা এবং তাঁর অনুগামীরা। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরও পুলিস দ্রুত পদক্ষেপ করেনি। পরে গ্রেফতার করা হয় মূল অভিযুক্ত ব্রজগোপাল গোয়ারীকে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: বাংলার সম্মান নষ্ট হতে দেব না, প্রয়োজনে জীবন দেব: মমতা
শিশু কমিশন এই ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট দেবে বলেও জানান মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখন যদি কোনও ছেলেমেয়ে প্রেম করে, সেটা আমার পক্ষে আটকানো সম্ভব নয়। কেউ বন্ধু হয়ে যেন কারও ক্ষতি না করে সেই ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে। এই ঘটনা থেকেও শিক্ষা নিতে হবে। যোগী সরকারকেও নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতার প্রশ্ন, ছেলেমেয়েরা প্রেম করলে তা কীভাবে আটকাবো? এটা উত্তরপ্রদেশ নয়, যে লভ জিহাদ প্রোগ্রাম করব।