বারাসত: সাতদিনের পুলিস হেফাজত শেষ৷ সোমবার ফের বারাসত আদালতে তোলা হল আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিগ্রহে অভিযুক্ত ছাত্রনেতা গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলকে৷ সাংবাদিকদের কাছে তাঁর দাবি, সেদিনের ঘটনায় তিনি একাই অভিযুক্ত৷ অন্য কেউ জড়িত নয়৷ এ দিন আদালতে ঢোকার মুখে সাংবাদিকরা নানা প্রশ্ন ছুড়ে দেন তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত ছাত্রনেতার দিকে৷ গিয়াসউদ্দিন জানান, ঘটনার দিন তিনি একাই ছিলেন৷ কারও বিরুদ্ধে তাঁর কোনও অভিযোগ নেই৷
আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মহম্মদ আলিকে হেনস্তার অভিযোগে গিয়াসউদ্দিনকে গ্রেফতার করেছিল টেকনো সিটি থানার পুলিস৷ গত ৪ এপ্রিল তাঁকে বারাসত আদালতে তোলা হয়৷ পুলিস ১০ দিনের জন্য গিয়াসউদ্দিনকে হেফাজত নিতে চেয়েছিল৷ কিন্তু আদালত ৭ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করে৷ ওই দিন গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলের আইনজীবী এজলাসে প্রশ্ন তুলেছিলেন, ঘটনাটি ঘটেছে ১ মার্চ। কেন দুদিন পর ৩ তারিখ মামলা রুজু করা হল? কেন গভর্নিং বডির কেউ এই ঘটনায় সেদিন মামলা রুজু করল না? অন্য ছাত্রকে কেন এই মামলা রুজু করতে হল? পাশাপাশি ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োর সত্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি৷
সরকারি পক্ষের আইনজীবী বক্তব্যে জানান, গিয়াসউদ্দিন মোল্লা প্রভাবশালী ব্যক্তি৷ নিজের প্রভাব খাটিয়ে কারও কথা না শুনে উপাচার্যের ঘরে দলবল নিয়ে ঢুকে গিয়েছিলেন৷ উপাচার্যকে হুমকি দেয়, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে৷ এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়৷ গিয়াসউদ্দিনের বিরুদ্ধে আরও তিনটে অভিযোগ রয়েছে বলেও দাবি করেন সরকারি আইনজীবী৷ সেগুলি চার্জশিট পর্যায় রয়েছে৷ এরা আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরি করেছে৷
আরও পড়ুন: Maoist Jangalmahal: ‘মাওবাদী কোটায় চাকরি পেতেই রাস্তায় ল্যান্ডমাইন’, পুলিসি জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য