চুল শুষ্ক বা চুলে আর্দ্রতার অভাব ঘটলেই চুল বেশি ফ্রিজি হয়ে যায়। কারণ এই সময় হাওয়ায় থাকা আর্দ্রতা শুষে নেয় চুল। এছাড়াও ঘণ ঘণ স্টাইলিং সরঞ্জামের ব্যবহার, হেয়ার জেল, অ্যালকোহল যুক্ত হেয়ার প্রোডাক্ট কিংবা বেশি খারযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুল ভীষণ ভাবে ফ্রিজি হয়ে যায়। অনেকেই এই ফ্রিজি হেয়ার থেকে মুক্তি পেতে বাজার চলতি নামী দামী ব্র্যান্ডের প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন। তবে কড়া রাসায়নিকের ব্যবহারের বদলে বরং প্রাকৃতিক উপকরণ দিয়ে চুলের পরিচর্যা করতে পারেন। এতে যেমন ফ্রিজি হেয়ার কমবে তেমন আবার চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়ে উঠবে। যেমন-
শুধু ত্বকের পরিচর্যায় নয় চুল ভাল রাখতেও ব্যবহার করতে পারেন কোকো বা শিয়া বাটার। এগুলোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন এ, ডি ও ভিটামিন ই রয়েছে। এই সবকটি উপাদান চুলের ফ্রিজি ভাব কম করে ও চুলকে হাইড্রেট করে। কোকো বা শিয়া বাটার চুল নরম করে এবং ডিপ কন্ডিশনারের কাজ করে।
চুল ভাল রাখতে একেবারে ম্যাজিকের মতো কাজ করে এই অ্যাভোকাডো অয়েল। অ্যাভোকাডোর তেল মাথার ত্বকের ভিতরে গিয়ে রুক্ষ চুলের জন্য খুব ভাল কন্ডিশনারের কাজ করে। এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এই চুল হাইড্রেট করে। এই গরমে তেল না লাগাতে চাইলে অ্যাভোকাডোর শাঁশ ভাল করে চটকে নিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিয়ে মাস্ক হিসেবে মাথার চুলে ভাল করে লাগিয়ে নিন।
ত্বকের পাশাপাশি চুলের ক্ষেত্রেও মধু খুবই কার্যকরী। চুলে অর্গানিক মধু সরাসরি লাগাতে পারেন। আবার মধু যুক্ত চুলের সামগ্রী ব্যবহার করতে পারেন। মধু চুলের ওপর একটা আস্তরণ তৈরি করে এটা চুল হাইড্রেট করে। এর ফলে চুল নরম ও মসৃণ হয়। চুলের জেল্লা বজায় থাকে।
শুধু স্যান্ডউইচেই নয় চুলেও মেয়োনিজ ব্যবহার করতে পারেন। চুলের আর্দ্রতা জোগানোর একেবারে পার্ফেক্ট হেয়ার মাস্ক। চুলের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে যা যা জিনিস প্রয়োজনীয় তা মেয়োনিজে পাওয়া যায়। যেমন অলিভ অয়েল, ডিম ও ভিনেগার। মেয়োনিজ প্রায় ২০ মিনিট মাথায় রেখে ধুয়ে নিন। চুল ধোওয়ার পর চুলের জেল্লা ফিরে আসবে, ফ্রিজি ভাব চলে যাবে।
এই তেলে প্রচুর পরিমাণ ময়শ্চারাইজিং এজেন্ট ও ভিটামিন ই থাকে। ভিটামিন ই চুলে লাগানো হলে চুলের ফ্রিজ ভাব কমে যায় ও চুল মসৃণ হয়ে যায়। সূর্যের অতিবেগুনি ক্ষতিকারক রশ্মীর থেকে চুলের রক্ষা করে আর্গান অয়েল।
(ছবি সৌ: Unsplash)