ঝালদা: ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু খুনে ধৃতদের (Jhalda Congress Councilor murder) সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। ধৃতদের মধ্যে ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা কলেবর সিং-এর ৫ দিন, এবং তপন কান্দুর দাদা নরেন কান্দু ও আসিক খানের ৭ দিন সিবিআইয়ের হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। রবিবার পুরুলিয়া জেলা সংশোধনাগার থেকে ধৃতদের জেলা আদালতে নিয়ে আসা হয়। সেখানেই ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নেয় সিবিআই। ঝালদা ফরেস্ট গেস্ট হাউসে জেরা করতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ধৃতদের।
এদিন সকালে জেলা আদালত খোলার আগেই সিবিআইয়ের আইনজীবী ও ইনভেস্টিগেশন অফিসার রঞ্জন কীর্তনীয়া সেখানে যান। ধৃতদের (Tapan Kandu Murder Case) নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য জিআরও অফিসে আবেদন জানান তাঁরা। যদিও আদালত খোলার পর বিচারক তাদের আবেদনে সাড়া দেননি। ছুটির দিন হওয়ায় তাদের সোমবার যোগাযোগ করতে বলেন। শেষমেশ সিবিআই আধিকারিকরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তারপর তাঁদের জেলা আদালতে যাওয়ার জন্য বলা হয়। ঝালদা থেকে সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল ও আইনজীবী জেলা আদালতে আবার ফিরে যান। বিচারক ৩ নম্বর কোর্টে তাঁদের আবেদন মঞ্জুর করেন। তারপরই ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নেয় সিবিআই।
অন্যদিকে, এই খুনের ঘটনার আগে ঝালদা থানার তৎকালীন আইসি সঞ্জীব ঘোষের তিনটি ফোন কল ডিটেলস নেয় সিবিআই। সেই সঙ্গে পুলিসের টহলদারি ভ্যানে থাকা মহিলা সাব-ইন্সপেক্টর অনিমা অধিকারী, কর্তব্যরত ২ কনস্টেবল, স্পেশাল হোমগার্ড, এনভিএফ ও গাড়ির চালক তথা সিভিক ভলান্টিয়ার নরেনচন্দ্র গড়াইয়ের কল ডিটেলস নেওয়া হয়েছে। আইসির সঙ্গে তাঁদের কল ডিটেলস মিলিয়ে দেখা হচ্ছে।
১৩ মার্চ সন্ধেয় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর। বিকেলে হাঁটার সময় ঝালদা-বাগমুন্ডি রোডের উপরে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। গোকুলনগর গ্রামের কাছে উল্টো দিক থেকে আসা একটি বাইকে আসা ৩ জন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য গুলি করে। তাঁর পেটে গুলি লাগে। রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তপন। এরপর দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।