নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ‘ইংরেজির বিকল্প হিন্দি’ মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় উঠেছে দেশের রাজনৈতিক মহলে৷ প্রত্যেকটি বিরোধী দল একসুরে অমিত শাহের মন্তব্যের কড়া নিন্দা করেছে৷ বিরোধিতা করে জানিয়েছে, নির্দিষ্ট কয়েকটি রাজ্যের মানুষ হিন্দিতে কথা বলেন বলে দেশের উপর হিন্দি চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে৷ কেন্দ্র এভাবে জোর করে কোনও ভাষা চাপিয়ে দিতে পারে না৷ এটা সুপরিকল্পিত হিন্দি আগ্রাসনের উদ্বেগজনক প্রতিফলন৷ এর নেপথ্যে বিজেপির ‘এক দেশ, এক ভাষা’ চাপিয়ে দেওয়ার এজেন্ডা রয়েছে৷ লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী কথায়, ‘এটা সাংস্কৃতিক সন্ত্রাস৷’
শনিবার পশ্চিমবঙ্গের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইংরেজির বিকল্প হিসেবে হিন্দিকে বেছে নিতে বলেছেন৷ আমরা এটা মেনে নেব না৷ এটা সাংস্কৃতিক সন্ত্রাস৷’ একই কথা বলেছেন কর্নাটকের প্রাক্তন কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া৷ শুক্রবার টুইটে হুঁশিয়ারি দিয়ে সিদ্দারামাইয়া বলেছিলেন, ‘হিন্দি জাতীয় ভাষা নয়৷ আমরা সেটা হতেও দেব না৷’ আরও এক কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের প্রশ্ন, সবাইকে হিন্দি বলতে বাধ্য করার চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দক্ষিণ ভারতের একটি ভাষা কেন শিখছেন না? রাজনাথ সিংয়ের একটি মন্তব্যকে হাতিয়ার করে জয়রাম রমেশ বলেন, ‘হিন্দি হল শাসকের ভাষা৷ রাষ্ট্র ভাষা নয়৷ রাজনাথ সিং যখন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন তিনি সংসদে একথা বলেছিলেন৷’ তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, হিন্দি ভাষা ও হিন্দিভাষীদের তারা শ্রদ্ধা করেন৷ কিন্তু স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যেভাবে আগ্রাসনের ভয়ঙ্কর ইঙ্গিত দিয়েছেন সেটা সমর্থনযোগ্য নয়৷
বৃহস্পতিবার সংসদীয় ভাষা কমিটির ৩৭ তম বৈঠকে অমিত শাহ বলেছেন, সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী দেশের সরকারি কাজের প্রায় ৭০ শতাংশ ক্ষেত্রেই ব্যবহৃত হয় হিন্দি৷ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাই ঠিক করেছেন সরকারি কাজে সরকারি ভাষাই ব্যবহার করতে হবে৷ সরকারি ভাষাকে দেশের সংহতি রক্ষার কাজে ব্যবহার করার সময় এসে গিয়েছে৷
আরও পড়ুন: Omicron’s sub variant XE Detects : গুজরাতে ওমিক্রনের উপ-প্রজাতি এক্সই’র প্রথম সংক্রমণ