লখনউ: মুসলিম মহিলাদের ধর্ষণ মন্তব্যে তোলপাড় গোটা দেশ৷ অভিযুক্ত সন্ত বজরং দাস মুনির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিস৷ বজরং মুনিকে গ্রেফতারের দাবিতে উত্তরপ্রদেশ পুলিসকে চিঠি দিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন৷ এত কিছুর পরেও ধর্ষণ মন্তব্যের জন্য অনুতপ্ত নন অভিযুক্ত সন্ত৷ ক্ষমা চাওয়া তো দূর উল্টে ভিডিয়োটি ভাইরাল করার জন্য অল্ট নিউজের সাংবাদিক মহম্মদ জুবেরকে একহাত নিলেন তিনি৷
সন্ত বজরং দাস মুনি বলেন, ‘যিনি ভিডিয়োটি আপলোড করেছেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টগুলি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খতিয়ে দেখা হোক৷ সবক’টা পোস্ট হিন্দুবিরোধী৷ যদি তিনি ধর্মনিরপেক্ষ বা মানবতাবাদী হতেন তাহলে মুসলিম বিরোধী পোস্ট দিতেন৷ অনেক মুসলিম নেতাও তো হিন্দু বিরোধী কথাবার্তা বলেন৷ কিন্তু তিনি সেই ধরনের পোস্টই আপলোড করেন যাতে হিন্দুদের খারাপভাবে দেখানো হয়৷’
নবরাত্রি ও হিন্দু নববর্ষ উপলক্ষে গত ২ এপ্রিল উত্তরপ্রদেশের খৈরাবাদ শহরে অনুগামীদের নিয়ে মিছিল বের করেছিলেন বজরং দাস মুনি৷ স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মিছিল যখন একটি মসজিদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল তখনই ওই উস্কানিমূলক ভাষণ দেন বজরং দাস মুনি৷ ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, গাড়ির ভিতর চালকের পাশের আসনে বসে মাইকে অনুগামীদের উদ্দেশে ভাষণ রাখছেন এক গেরুয়া বসনধারী৷ বলছেন, ‘হিন্দু মেয়েদের উত্যক্ত করা হলে তোমাদের ঘর থেকে মহিলাদের বের করে এনে আমি ধর্ষণ করব৷ এই আমি খোলাখুলি বলে গেলাম’৷ সাধুর কথায় উল্লাসে ফেটে পড়েন তাঁর অনুরাগীরা৷ এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ছি ছিক্কার পড়ে যায়৷ অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন অনেকেই৷
তাঁর গ্রেফতারের দাবিতে শুক্রবার উত্তরপ্রদেশ পুলিসের ডিজিকে চিঠি পাঠায় জাতীয় মহিলা কমিশন৷ সেখানে পুলিসের ভূমিকা নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে৷ মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা বলেন, ‘এই ধরনের অভিযোগের বহর দিন দিন বাড়ছে৷ ঘটনাস্থলে পুলিস থাকা সত্ত্বেও মহিলা বিরোধী মন্তব্য করা থেকে অভিযুক্তকে আটকায়নি পুলিস৷’ পরে সংবাদসংস্থা এএনআইকে রেখা শর্মা বলেন, ‘হিন্দু হোক কিংবা মুসলিম মহিলারাই এদের টার্গেট৷ এমন বহু অভিযোগ আমরা পেয়ে থাকি৷ সেগুলি পুলিসকেও পাঠিয়ে দিই৷ কিন্তু এ ধরনের ঘটনা কমার বদলে বেড়েই চলেছে৷’