পুরুলিয়া: তপন কান্দুর খুনের ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীদের নিয়ে আসা হল ঝালদা ফরেস্ট গেস্ট হাউসে। এখানেই প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান রেকর্ড করা হবে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। প্রত্যক্ষদর্শীদের মধ্যে সুভাষ গড়াই, প্রদীপ চৌরাসিয়া, যাদব রজককে ডেকে পাঠানো হয়েছে। নিহত তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুন কান্দুকেও কেউ ডেকে পাঠানো হয়েছে বয়ান রেকর্ডের জন্য।
সিপিএমের ঝালদা এরিয়া কমিটির সম্পাদক উজ্জ্বল চট্টরাজকেও ডেকেছে সিবিআই। ১৩ মার্চ বিকেলে ঝালদা থানার আইসি সঞ্জীব ঘোষ উজ্জ্বলকে ফোন করেন। দুজনের মধ্যে কী কথা হয়েছিল সেই সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। সূত্রের খবর, ঝালদার আইসি সঞ্জীব ঘোষকেও জেরা করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।
বৃহস্পতিবার নিহত কান্দুর পরিবারের সঙ্গে প্রায় ৪৫ মিনিট কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকরা। নিহতের স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু ও ভাইপো মিঠুন কান্দুর সঙ্গে কথা বলেন। সূত্রের খবর, ঘটনার দিনের কথা, তপন কান্দু কোথায় ছিলেন, কখন তাঁরা তপনের আক্রান্ত হওয়ার কথা জানতে পারেন-ইত্যাদি বিষয়ে সিবিআই আধিকারিকরা খোঁজ নেন। যদিও তপন কান্দু পরিবারের সদস্য সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকার করেন।
আরও পড়ুন: Medinipur Dacoity: মানবিক ডাকাত, জ্ঞান হারানো গৃহকর্তাকে জল দিয়ে সুস্থ করে তুলল, রেখে গেল মোবাইলও
১৩ মার্চ সন্ধেয় গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর। বিকেলে হাঁটার সময় ঝালদা-বাগমুন্ডি রোডের উপরে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। গোকুলনগর গ্রামের কাছে উল্টো দিক থেকে আসা একটি বাইকে আসা ৩ জন দুষ্কৃতী তাঁকে লক্ষ্য গুলি করে। তাঁর পেটে গুলি লাগে। রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন তপন। এরপর দুষ্কৃতীরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়।
এই গেস্ট হাউসেই বয়ান রেকর্ড করা হচ্ছে
প্রথমে ঝালদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঝাড়খণ্ডের রাঁচির একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তপনবাবুর মৃত্যু হয়। যদিও এই ঘটনায় রাজ্য পুলিশের উপর ভরসা না রেখে প্রথম থেকে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে এসেছে নিহতের পরিবার। শেষ পর্যন্ত সিবিআই তদন্তের দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে যায় তপন কান্দুর পরিবার। হাইকোর্ট ৪ এপ্রিল সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়।