ম্যাঞ্চেস্টার সিটি–১ অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ–০
(কেভিন দে ব্রুইন)
মঙ্গলবার রাতে ম্যাঞ্চেস্টার সিটির ঘরের মাঠ আল ইত্তিহাদ স্টেডিয়ামে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যাচটা ছিল ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন ও লা লিগা চ্যাম্পিয়নের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত সেই ম্যাচে ই পি এল চ্যাম্পিয়ন ম্যাঞ্চেস্টার সিটি হারিয়ে দিল লা লিগা চ্যাম্পিয়ন অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে। ম্যাচের ৭০ মিনিটে ম্যান সিটির এক মাত্র গোলটি করলেন অধিনায়ক কেভিন দে ব্রূইন। আগামি ১৩ এপ্রিল মাদ্রিদে ফিরতি কোয়ার্টার ফাইনালের পর ঠিক হবে কোন দল সেমিফাইনালে উঠবে।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে ম্যান সিটি এখন এক নম্বরে। তাদের সঙ্গে সমান তালে এগোচ্ছে লিভারপুল। দু্ই দলের মধ্যে ব্যবধান মাত্র এক পয়েন্টের। তাই মঙ্গলবার মাঠে নামার সময় পেপ গুয়েরদিওলার ছেলেদের মাথায় ছিল দুটো ব্যাপার। প্রথমত ঘরের মাঠে অ্যাটলেটিকোকে হারাতে হবে। আর কোনও রকম চোট আঘাত পাওয়া যাবে না। কারণ রবিবারই লিভারপুলের সঙ্গে প্রিমিয়ার লিগে তাদের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ রয়েছে। ম্যাচের শেষে দুটো ব্যাপারেই জয়ী পেপ গুয়েরদিওলার ছেলেরা। আর অ্যাটলেটিকো মাঠে নেমেছিল ম্যাচটা ড্র করার উদ্দেশ্য নিয়ে। কিন্তু সত্তর মিনিট পর্যন্ত তারা সফল হলেও তার পর গোল খেয়ে যায়।
ম্যাচের শুরু থেকেই গোলের জন্য উন্মুখ ছিল ম্যান সিটি। কিন্তু ডিফেন্সে পাঁচজন এবং মাঝ মাঠে পাঁচজনকে রেখে দল সাজিয়েছিল অ্যাটলেটিকো। এর ফাঁক দিয়ে প্রথমার্দ্ধে গোলের মুখ খুলতে পারেনি ম্যান সিটি। ৬৮ মিনিটের মাথায় ফিল ফডেনকে নামায় সিটি। দু মিনিটের মধ্যে ফডেনের পাস ঠিক খুঁজে নেয় কেভিন দে ব্রুইনের পা। গোল করতে ভুল করেননি বেলজিয়ান তারকা। গোলের একটু পরেই আবার গোল করার সুযোগ এসেছিল কেভিনের সামনে। এবার কিন্তু ডিফেন্ডার স্টেফান সাভিকের বাড়ানো পায়ে আটকে যায় কেভিনের শট। ম্যাচ জেতার পর সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ম্যান সিটির কোচ গুয়েরদিওলা। তবে ফিরতি ম্যাচের ফল নিয়ে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি। আর অ্যাটলেটিকো কোচ দিওগে সিমোনে বলেছেন,” ম্যাচের তো এখন বিরতি। সামনের সপ্তাহে আমাদের মাঠে খেলার পর ফয়সালা হবে। আমরা হতাশ নই।” ম্যান সিটি কিংবা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ এখন পর্যন্ত ইউরোপ সেরার সম্মান অর্জন করতে পারেনি। গত বছর ফাইনালে উঠৈও ম্যান সিটি হেরে গিয়েছিল চেলসির কাছে। আর অ্যাটলেটিকো শেষ বার ফাইনালে উঠেছিল ২০১৬ সালে। সেবার তারা রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে যায়।