শরীর ভাল রাখতে উপোসের একটা উপকারিতা রয়েছে। উপোসের করলে আমাদের গাট পরিষ্কার হয়ে যায় এবং আরও ভাল কাজ করতে সক্ষম হয়। তবে উপোস শেষে যদি পুষ্টিকর খাওয়ার শরীরে না যায় তা হলে কিন্তু শরীরে নানা রকমের বিপদ ডেকে আনতে পারে উপোস। তাই এই সময় খাবার নিয়ে বাড়তি সতর্কতার প্রয়োজন রয়েছে। এই উপোসের শরীরে যাতে পুষ্টির ঘাটতি না হয় তাই উপোস শেষে খেতে পারেন বার্নইয়ার্ড মিলেট ধোসা।
কীভাবে বানাবেন এই মিলেট ধোসা দেখে নিন-
উপকরণ
বার্নইয়ার্ড মিলেট(ভাল করে ধুয়ে অন্তত ৬ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখুন)- ১/২ কাপ
কুচুনো লাউ- ১ কাপ
কুচুনো গাজর- ১/২ কাপ
টাটকা পুদিনা পাতা ও ধনেপাতা- একমুঠো
কুমড়োর বীজ- ১ টেবিলচামচ
সূর্যমুখীর বীজ- ১ টেবিলচামচ
বিটনুন স্বাদমতো
ঘি- ২ চা চামচ
কীভাবে বানাবেন এই মিলেট ধোসা-
ভিজিয়ে রাখা বার্নইয়ার্ড মিলেট মিহি করে পিষে নিন। পেষার সময় খুব অল্প পরিমাণ জল ব্যবহার করুন।
এবার এই মিলেটের পেস্টে কুচিয়ে রাখা সবজি মিশিয়ে দিন এবং নুন দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে এই ব্যাটারের কনসিসটেনসি দেখে নিন।
এবার সূর্যমুখি ও কুমড়ো বীজ বেটে নিন তবে মিহি করে বাটবেন না। এই গুঁড়ো মিলেট ব্যাটারে মিশিয়ে দিন।
এবার ধোসা প্যানে আধ চামচ ঘি ঢেলে গরম করে নিন।
এবার হাতা দিয়ে ব্যাটার তুলে ধোসা প্যানে ভাল করে ছড়িয়ে দিন। মাঝারি আঁচে ভাল করে এই ধোসা এ পিঠ ও পিঠ করে ভাল করে ভেজে নিন। ধোসা বাদামী রঙয়ের ও মুচমুচে হয়ে যাওয়া পর্যন্ত সেঁকে নিন।
আপনার পছন্দের ডিপের সঙ্গে গরম গরম খেয়ে নিন।
চাইলে টাটকা পুদিনা পাতার চাটনি বানিয়ে নিতে পারেন।
পুষ্টিকর ও সু্স্বাদু এই মিলেট ধোসায় পেট ও মন দুই ভরবে।
কেন এত উপকারী এই বার্নইয়ার্ড মিলেট
বার্নইয়ার্ড মিলেটে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার ও আয়রন ও জিঙ্কের মতো মাইক্রো নিউট্রিয়েন্ট রয়েছে যা অনেক শষ্যতেও পাওয়া যায় না। তাই ডাইবেটিকদের জন্য এই বার্নইয়ার্ড মিলেট যথেষ্ট পুষ্টিকর। পাশাপাশি বার্নইয়ার্ড মিলেটের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশ লো তাই ডায়বেটিকরা এই মিলেট তাদের নিত্যদিনের খাদ্যতালিকায় রাখলে উপকার পাবেন।
(ছবি সৌ: bigbasket)