কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: হঠাৎ করেই সোশাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে টার্গেট ‘হিমালয়া’ (Himalaya)। টার্গেট সংস্থার একাধিক প্রোডাক্ট। ট্রেন্ডিং হ্যাশট্যাগ বয়কট হিমালয়া। কেন? হিমালয়া সংস্থা তো নানা রকম ওষুধ এবং শরীর সুস্থ রাখার আয়ুর্বেদিক পণ্য বিক্রি করে থাকে। তো ওযুধ বিক্রি করে এমন সংস্থাকে বয়কটের ডাক কেন? ট্রোলের অন্দরে খোঁজ নিতেই উঠে এল গেরুয়া রাজনীতির ঝাঁঝ। সংস্থার হালাল-নীতিকে (Halal policy ) ট্যাগ করেই ডানপন্থী নেটিজেনরা হা রে রে রে করে নেমে পড়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে পরেশ রাওয়ালের মত নামও।
হিমালয়ার এই হালাল নীতিকে (Halal policy )টার্গেট করতে গিয়ে ডানপন্থী ট্রোলবাদীরা এখন ফাঁপড়ে পড়েছেন। ডানপন্থী পোর্টাল ‘দ্য ফ্রাসটেটেড ইন্ডিয়ান’ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা অতুল মিশ্র ৩০ মার্চ ২০২২ তারিখে হিমালয়া সংস্থার হালাল-নীতি নিয়ে একটি ছবি পোস্ট করেন। সংস্থার নীতিতে স্পষ্ট, হিমালয়া তাদের পণ্য উৎপাদন করতে হালাল করা বস্তু ব্যবহার করে থাকে। একইসঙ্গে হিমালয়া জানায়, তাদের সংস্থায় একটি হালাল ম্যানেজমেন্ট টিম আছে। দলে রয়েছে হালাল বিশেষজ্ঞেরা, মুসলিম কর্মীরাও ওই টিমে রয়েছেন বলে সংস্থা জানায়।
আমুলের হালাল শংসাপত্র
ট্রোলবাদীদের মুখে সপাট থাপ্পড় এসে পড়েছে যখন দেখা গিয়েছে শুধু হিমালয়াই নয়, পতঞ্জলি (Patanjali), আদানি (Adani), রিলায়েন্স (Reliance), টাটা (Tata), আমুল (Amul), পার্লে, হরলিক্স-এর মত একাধিক সংস্থারও হালাল-নীতি রয়েছে। জামায়েত ‘উলমা-এ-হিন্দ হালাল ট্রাস্টে’-এর নির্দিষ্ট হালাল সার্টিফিকেট রয়েছে। বিশ্বের কমবেশি ২০০ কোটি মুসলিম গ্রাহকের কথা মাথায় রেখে রামদেব বাবার পতঞ্জলি সংস্থাকেও হালাল সার্টিফিকেট নিতে হয়। এটা জেনে এখন সাম্প্রদায়িক ট্রোলবাদীরা মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
আরও পড়ুন- Narendra Modi: প্রধানমন্ত্রীর পিছনে জেটলির ভূত! জগজীবনকে শ্রদ্ধা জানানোর মোদি-টুইট ঘিরে শোরগোল
হলদিরামের হাহাল শংসাপত্র
Himalaya was selectively targeted for its Halal policy despite most other companies – Patanjali, Dabur and Amul – also possessing Halal certificates. Watch how disinformation is used to target Himalaya, a company founded by Mohammed Manal in 1930.pic.twitter.com/s51BMtHl2Z
— Mohammed Zubair (@zoo_bear) April 5, 2022
পাঠক মনে করুন। হিন্দু জনজাগৃতি সমিতির সদস্যরা মাথার গেরুয়া ফেট্টি বেঁধে বেঙ্গালুরুর দোকানে দোকানে ঘুরছেন। লিফলেট বিলি করছেন। হালাল মাংস যাতে না বিক্রি করা হয় সেই ফতোয়া দিচ্ছেন। মুরগির মাংসের দোকানে গিয়ে হুমকি দিচ্ছেন, হালাল মাংস বিক্রি করা যাবে না। বোঝা যায় ট্রোলপন্থীদের আড়ালে আসলে কাদের হাত।