উত্তরবঙ্গে পৃথক রাজ্যের দাবিতে আঞ্চলিক দলগুলোকে নিয়ে চলার চেষ্টা বিজেপির। গত রবিবার ময়নাগুড়ি টেকাটুলিতে, আলাদা রাজ্যের দাবি নিয়ে ভবিষ্যতের অন্দোলনের রূপরেখা ঠিক করার জন্য কামতাপুর পিপলস পার্টি, কামতাপুর ডেমোক্রেটিক পার্টি, কামতাপুর প্রগ্রেসিভ পার্টি, গ্রেটার কোচবিহার ডেমোক্রেটিক পার্টি-সহ মোট সাতটি দলের প্রতিনিধিরা এক আলোচনা সভায় বসেছিলেন। তৈরি হয় কেপিপি ইউনাইটেড।
আরও পড়ুন : বঙ্গভঙ্গ বিতর্ক: বারলা, সৌমিত্রদের নেপথ্যে সঙ্ঘ পরিবার?
সোমবার এই আঞ্চলিক দলের প্রতিনিধিরা আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলার লক্ষ্মীপাড়ার বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন। এঁদের মধ্যে ছিলেন কেপিপি ইউনাইটেড দলের সাধারণ সম্পাদক সুভাষ বর্মন, কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা সুবলচন্দ্র রায়, ধনেশ্বর রায়, গোপাল বর্মন প্রমুখ। জন বারলা বা কেপিপি ইউনাইটেডের প্রতিনিধিরা বলছেন এটা সৌজন্য সাক্ষাৎ ছাড়া কিছুই নয়। কিন্তু ব্যাপারটাকে হাল্কাভাবে নিতে রাজি নয় প্রশাসন। মঙ্গলবারই শিলিগুড়ির সার্কিট হাউসে রাজ্য পুলিশের এডিজি নীরজকুমার সিং উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলার এসপি-দের সঙ্গে উত্তরবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করার কথা।
আরও পড়ুন : প্রয়োজনে রক্ত দিয়ে বাংলা ভাগ আটকাবো: উদয়ন
বিধানসভা নির্বাচনের পরপরই উত্তরবঙ্গকে নিয়ে পৃথক রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের দাবি তুলেছিলেন আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বারলা।
তিনি এই দাবি তোলার পরপরই উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকজন বিধায়ক-সহ বিজেপি নেতৃত্ব একই দাবিতে সরব হন। সম্প্রতি রাজ্যপালের দার্জিলিং সফরে জন বারলা-সহ বিজেপির এক প্রতিনিধিদল রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে পৃথক রাজ্যের দাবি জানিয়ে এসেছেন।বিজেপির এই পৃথক রাজ্যের দাবি আগুনে ঘি ঢালার মতো কাজ করেছে। কামতাপুর ভাষাভাষী সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে ধিকিধিকি করে জ্বলতে থাকা কামতাপুর রাজ্যের দাবি আবারও মাথা চাড়া দিয়েছে। নব্বইয়ের দশকে উত্তরবঙ্গ জুড়ে রক্তক্ষয়ী আন্দোলনের কথাও কারও অজানা নয়। যদিও সে সময়ে আন্দোলনকারীরা অনেকেই সমাজের মুল স্রোতে ফিরে এসেছেন।