কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ইউক্রেনের বুচায় রুশ বাহিনীর গণহত্যার সমালোচনা করলেন। মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে (ইউএনএসসি) বক্তৃতা দিতে গিয়ে গুতেরেস বলেন, রাজধানী কিভের কাছে ইউক্রেনের বুচা শহরে রাস্তায় মৃত সাধারণ মানুষের ছবি দেখে আমি”ভীত”। তিনি কখনই এই ঘটনার কথা ভুলতে পারবেন না। তাই, ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও কার্যকরি ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছেন।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন,”আমি কখনই বুচায় নিহত সাধারণ নাগরিকদের ভয়ঙ্কর চিত্রগুলি ভুলব না। কার্যকর জবাবদিহি করতে আমি অবিলম্বে স্বাধীন তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছি। ধর্ষণ ও যৌন হিংসতার ব্যক্তিগত সাক্ষ্য দেখে আমি হতবাক হয়েছি।
আন্তর্জাতিক মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, কয়েক সপ্তাহের তীব্র লড়াইয়ের পর এলাকা থেকে রাশিয়ান সেনা প্রত্যাহারের পরিপ্রেক্ষিতে রাস্তায় এবং উঠোন থেকে কার্যত চারিদিকে মৃতদেহের ছবি উঠে এসেছে।
কয়েক ডজন লাশ রাস্তায় পাওয়া গেলেও কয়েক সপ্তাহের তীব্র লড়াইয়ের পর এলাকা থেকে রাশিয়ান প্রত্যাহারের পরিপ্রেক্ষিতে গণকবরে প্রায় ৩০০ সাধারণ ইউক্রেনীয়ের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে। বুচাতে সাধারণ নাগরিক হত্যাকাণ্ডকে ‘ইচ্ছাকৃত গণহত্যা’ বলে অভিহিত করে, ইউক্রেন রাশিয়ানদের বিরুদ্ধে আক্রমনাত্মক নতুন G7 নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়েছে।
ইউক্রেনের যুদ্ধ আন্তর্জাতিক শৃঙ্খলা এবং বৈশ্বিক শান্তির স্থাপত্যের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিশ্ব অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে। রাশিয়ার তেল নিষেধাজ্ঞার মধ্যে জ্বালানি খাতে সঙ্কটে দেখা দিতে পারে। কৌশলগত মজুত এবং অতিরিক্ত মজুত ব্যবহার স্বল্পমেয়াদের জ্বালানি সংকট কমাতে সহায়তা করতে পারে।
রাশিয়ান আমদানির পাশাপাশি রপ্তানির উপর আরোপিত বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে গুতেরেস দুর্ভিক্ষ ও ক্ষুধার ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলির জন্য বাজার খোলা রাখার জন্য সমস্ত দেশকে আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন-Suvendu Adhikari: বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে ৭ দিনের মধ্যে হাজিরার নির্দেশ দুর্গাচক পুলিসের
তিনি বলেন, “আমরা সব দেশকে বাজার খোলা রাখতে, অযৌক্তিক ও অপ্রয়োজনীয় রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রতিরোধ করতে এবং ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলির জন্য রিজার্ভ উপলব্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি। কৌশলগত মজুত এবং অতিরিক্ত মজুত ব্যবহার স্বল্পমেয়াদে এই সংকটকে সহজ করতে সাহায্য করতে পারে।”
রাশিয়া এবং প্রতিবেশী ইউক্রেনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছিল ২৪ ফেব্রুয়ারি। রাশিয়ার আক্রমণে এখনও পর্যন্ত ৩৪৫৫ জন সাধারণ ইউক্রেনীয় নাগারিকের মৃত্যু হয়েছে।