নয়াদিল্লি: কন্যাপণের সুবিধা ও গুণাগুণ বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে নার্সিং পড়ুয়াদের ! শুনতে অবাক লাগলেও নার্সিংয়ের পাঠ্য বই নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। যার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন।
জানা গিয়েছে, নার্সিং পড়ুয়াদের সোসিওলজি বইয়ে পণ ব্যবস্থার “গুণা ও সুবিধা” সংক্রান্ত চ্যাপ্টার রয়েছে। সেই পাঠ্য বইয়ের পণ ব্যবস্থার “গুণ ও সুবিধা” লেখা সংক্রান্ত অংশের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল হয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাল জাতীয় মহিলা কমিশন। জানাগিয়েছে, ওই সোসিওলজি বইয়ের লেখিকা টিকে ইন্দ্রানী। ইন্ডিয়ান নার্সিং কাউন্সিলের সিলেবাস অনুযায়ী বইটি লেখা হয়েছে বলেও উল্লেখ রয়েছে বইয়ের কভারে।
পণ ব্যবস্থার “গুণা ও সুবিধা” সংক্রান্ত চ্যাপ্টারে কী রয়েছে?
'Undermines women empowerment': NCW seeks remedial action against textbook listing merits of dowry
Read @ANI Story | https://t.co/87gWV6t1dg#dowry #Sociology #textbook #NCW #womenempowerment pic.twitter.com/juJPHRWWtc
— ANI Digital (@ani_digital) April 5, 2022
পণকে পিতা-মাতার সম্পত্তির অংশ পাওয়ার কথা বলা হয়েছে। যা উদ্বেগের এবং পণ প্রথাকে বিজ্ঞাপিত করে। সমাজের কাছে ভুল বার্তা দেওয়া হচ্ছে বলে মহিলা কমিশনের তরফে বলা হয়েছে। এরফলে, এর বিরুদ্ধে গুরুতর পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন টুইট করে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানকে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। এক সপ্তাহের মধ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিবকেও চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি।
বই বিক্রির স্বার্থে ইন্ডিয়ান নার্সিং কাউন্সিল (আইএনসি)-র নাম ব্যবহার করায় পাঠ্যপুস্তকের প্রকাশক এবং লেখকের নিন্দা করা হয়েছে। তাদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পড়ুয়াদের নজর কাড়তেই “নার্সদের জন্য সমাজবিজ্ঞানের পাঠ্যপুস্তকে” লেখক এবং প্রকাশক ইচ্ছাকৃত কাউন্সিলের নাম কভার পৃষ্ঠায় রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন-Supreme Court: নির্বাচনী বন্ড মামলা শুনতে রাজি প্রধান বিচারপতি এনভি রমনা
ইন্ডিয়ান নার্সিং কাউন্সিল আইনের ধারা ১৬-তে কাউন্সিলকে নার্স, মিডওয়াইফ এবং স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের প্রশিক্ষণের জন্য মান এবং পাঠ্যক্রম নির্ধারণ করার ক্ষমতা দেয়। নীতি অনুসারে, ইন্ডিয়ান নার্সিং কাউন্সিল শুধুমাত্র পাঠ্যক্রম নির্ধারণ করে। কোন লেখক বা প্রকাশককে সমর্থন করে না। তাই, ইন্ডিয়ান নার্সিং কাউন্সিল বইটির বিষয়বস্তুতে কাউন্সিলের নাম অপব্যবহারের জন্য প্রকাশক এবং লেখকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।