হাওড়া: বলুন তো দেশের সব রাজ্যের নাম! কিংবা মানব শরীরের সব প্রত্যঙ্গের নাম। অন্তত ১০ জনের মোবাইল নম্বর বলুন দেখি! হল তো! শিক্ষার জারিজুরি ফতে! কিন্তু, একরত্তি একটি শিশু ফটফট করে বলে যাচ্ছে সেসব। ভাবতে পারেন! আর বয়সটা শুনলে তো আঁতকেও উঠতে পারেন। মাত্র ৩ বছর ৭ মাস। ঠিক এই রকমই এক বিস্ময় শিশুর দেখা মিলল হাওড়ায়।
আরও পড়ুন: Anubrata Mandal: কলকাতার পথে অনুব্রত, বুধবার কি সিবিআই দফতরে হাজিরা দেবেন?
মাত্র ৩ বছর ৭ মাস বয়সে গলগলিয়ে বলে যাচ্ছে ভারতের সব রাজ্যের ও রাজধানীর নাম| গলগলিয়ে বলছে মানুষের প্রতিটি অঙ্গের নাম| ইংরেজিতে বলে দিচ্ছে মোবাইল নম্বর থেকে যাবতীয় পশুপাখিদের নাম| স্কুল কেমন দেখতে না-জানলেও এই খুদের নখদর্পণে জ্ঞানকোষ| কোন রাজ্যের রাজধানী কী, চোখের নিমেষেই বলে দেবে| এমনকী এই বয়সেই ঠোঁটের আগায় রয়েছে ডজনখানেক পাখির নাম। মাছের নাম। এগুলো অনর্গল বলতে পারে মৌড়িগ্রামের বাসিন্দা শ্রেয়াংশ পাড়ুই|
বাবা-মায়ের সঙ্গে শ্রেয়াংশ।
তাহলে কি অলোকিক কিছু? না, তার মা-বাবার দাবি— একদমই নয়| এক বছর বয়স থেকে বাড়ির আশপাশে থাকা পশুপাখি দেখে তাদের নাম শেখানো হয়েছে তাকে| তারপর থেকে বই কিনে তাকে শিক্ষা দেওয়া। আর সেই বই পড়েই ক্রমশ মুখস্থ করা। তবে এই বয়সেই কঠিন কঠিন নাম ও শব্দ মনে রাখে কীভাবে, তা অবশ্য কারও জানা নাই| এই মনে রাখা আর অবলীলায় সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে মাত্রা সাড়ে তিন বছরেই অর্জন করে নিয়েছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের (INDIA BOOK OF RECORDS) পুরস্কার| এই মুহূর্তে সবথেকে কম বয়সিদের এই খ্যাতির পালক এখন শ্রেয়াংশের মুকুটে|
ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসের শংসাপত্র ও মেডেল নিয়ে শ্রেয়াংশ পাড়ুই