নয়াদিল্লি: নির্বাচনী বন্ড মামলা শুনতে রাজি দেশের শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার আদালত জানিয়েছে, নির্বাচনী বন্ডের বিরুদ্ধে করা মামলা খুব শীঘ্রই শোনা হবে। জাতীয় সংবাদ মাধ্যম Bar and Bench সূত্রে এমনটাই খবর। তাদের খবরে প্রকাশ, সোমবার আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ প্রধান বিচারপতি এনভি রমনার কাছে মামলাটি উপস্থাপন করেন।
মামলাতে বলা হয়েছে, কলকাতার এক কর্পোরেট সংস্থা ৪০ কোটি টাকা নির্বাচনী বন্ড দিয়ে অন্তঃশুল্ক হার বৃদ্ধি ঠেকানোর দাবি জানায়। যার মাধ্যমে গণতন্ত্রকে বিকৃত করা হয়েছে বলে দাবি। এই মামলার বিষয় উত্থাপন করতেই প্রধান বিচারপতি রমনা বলেন, এটা করোনার মতো মামলা নয়…এই মামলার পুরোটাই শুনবো।
পরক্ষণেই আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ বলেন, এটা মারাত্নক ঘটনা। তা শুনে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, হ্যা, আমরা এটা শুনবোই।
নির্বাচনী বন্ড হল প্রতিশ্রুতি নোট। যা ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নির্বাচিত শাখা থেকে ভারতে নিযুক্ত যে কোনও ভারতীয় নাগরিক বা সংস্থা কিনতে পারে৷ তারপর নাগরিক বা কর্পোরেট সংস্থা তার পছন্দের যেকোনও যোগ্য রাজনৈতিক দলকে অনুদান দিতে পারে। বন্ডগুলি ব্যাঙ্ক নোটগুলির অনুরূপ। সুদ মুক্ত৷ একজন ব্যক্তি বা পক্ষকে এই বন্ডগুলি ডিজিটালভাবে বা চেকের মাধ্যমে কেনার অনুমতি দেওয়া হয়।
[ ELECTORAL BONDS SCHEME ]
Case mentioned before #SupremeCourt
Adv Prashant Bhushan @pbhushan1 mentions before CJI: This hasn’t been listed for more than one year. Fresh electoral bonds are being issued. pic.twitter.com/W2YthitDCC
— Live Law (@LiveLawIndia) April 5, 2022
নির্বাচনী বন্ড ফিনান্স বিল ২০১৭ সালে চালু করা হয়েছিল। ২৯ জানুয়ারি ২০১৮ নরেন্দ্র মোদি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার নির্বাচনী বন্ড স্কিম ২০১৮ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এরপর ১২ এপ্রিল ২০১৯ সুপ্রিম কোর্ট সমস্ত রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে প্রাপ্ত অনুদানের বিবরণ জাতীয় নির্বাচন কমিশন জমা দিতে বলেছিল। নির্বাচনী বন্ডের বিরুদ্ধে মামলা শুনতে সর্বোচ্চ আদালত এখনও তারিখ নির্ধারণ করেনি।
১০ এপ্রিল ২০১৯ সালে নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম কোর্টকে বলেছিল, নির্বাচনী বন্ড স্কিমের বিরুদ্ধে না হলেও রাজনৈতিক দলগুলিতে বেনামী অনুদানের অনুমোদন দেয়নি।
আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী বলেন,“আমরা নির্বাচনী বন্ডের বিরোধী নই… তবে পূর্ণ প্রকাশ ও স্বচ্ছতা চাই। আমরা নাম প্রকাশের বিরোধিতা করছি”।
আরও পড়ুন-I&B Ministry blocks YouTube channels: বিকৃত তথ্য সম্প্রচার, ২২ ইউটিউব চ্যানেল ব্লক কেন্দ্রের
গত বছর প্রাক্তন আমলা, আইনজীবী এবং শিক্ষাবিদ সহ বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট নাগরিক ভারতের প্রধান বিচারপতি এন ভি রমনাকে চিঠি লিখেন। তাতে তাঁরা সংবিধান বেঞ্চের সামনে দীর্ঘকাল ধরে বিচারাধীন কিছু গুরুত্বপূর্ণ মামলার দ্রুত তালিকা প্রকাশ এবং শুনানির জন্য অনুরোধ করেছিলেন। তার মধ্যে নির্বাচনী বন্ডের ইস্যুকে চ্যালেঞ্জ করে পিটিশনের বিষয়টিও ছিল। সম্প্রতি মামলাটি তালিকাভুক্ত হলেও শুনানি হয়নি। নির্বাচনী বন্ডের বৈধতা এবং সাংবিধানিকতা সম্পর্কে একটি প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নির্বাচন ব্যবস্থা এবং অখণ্ডতার জন্য অত্যাবশ্যক।