কলম্বো: চরম অর্থনৈতিক সংকটে জেরবার শ্রীলঙ্কা৷ এই সংকট থেকে দেশকে বাঁচাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাহায্য চাইলেন শ্রীলঙ্কার বিরোধী দলনেতা সাজিত প্রেমাদাসা৷ সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর কাতর আর্জি, ‘প্লিজ চেষ্টা করুন৷ যতটা সম্ভব শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করুন৷ শ্রীলঙ্কা আমাদের মাতৃভূমি৷ মাতৃভূমিকে বাঁচানো দরকার৷’
গত কয়েকদিন ধরে সরকার বিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল শ্রীলঙ্কা৷ কারণ, দেশে মূল্যবৃদ্ধি আকাশ ছুঁয়েছে৷ জ্বালানি, খাবার, ওষুধ অমিল৷ যতটুকু পাওয়া যাচ্ছে সেগুলি চড়া দামে কিনতে হচ্ছে৷ এক কিলোগ্রাম দুধ বিক্রি হচ্ছে ১৯০০ টাকা দরে৷ চালের দাম ২২০ টাকা প্রতি কিলোগ্রাম৷ সরকারের বিদেশি মুদ্রার ভাঁড়ারে টান পড়ায় খাদ্যপণ্য, জ্বালানি আমদানি করতে পারছে না শ্রীলঙ্কা সরকার৷ তাই জনরোষ আছড়ে পড়ে প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষের উপর৷ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে শুক্রবার রাতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন তিনি৷ ৩৬ ঘণ্টার কারফিউ জারি করা হয়৷ তখন সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে দেশে দাবালনের মতো ছড়াতে শুরু করে ক্ষোভ৷ তাই ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধের নির্দেশ দেয় গোতবায়া সরকার৷ এ নিয়েও শোরগোল শুরু হওয়ায় ১৫ ঘণ্টা পর ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করে দেওয়া হয়৷ তারপর রবিবার রাতে মন্ত্রিসভার ২৬ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করেন৷ কিন্তু রাজাপক্ষে সরেননি৷ বরং দেশের আর্থিক দুর্দশা দূর করতে সবকটি রাজনৈতিক দলকে সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দিয়েছেন৷
তাতে সায় নেই বিরোধী নেতা সাজিতের৷ উল্টে ২৬ জন মন্ত্রীর পদত্যাগকে ‘মেলোড্রামা’ বলে কটাক্ষ করেন৷ সাজিত বলেন, ‘দেশের মানুষকে বোকা বানানো হচ্ছে৷ এতে স্বস্তি ফিরবে না৷ মেলোড্রামা ছাড়া কিছুই নয়৷ গোটা দেশে বিরাট পরিবর্তনের দাবি উঠেছে৷ এই পরিবর্তনই পারে দেশকে স্বস্তি দিতে৷ রাজনীতি কোনও মিউজিক্যাল চেয়ারের খেলা নয় যে রাজনীতিকরা নিজেদের মধ্যে অবস্থার পরিবর্তন করে নিলে পরিস্থিতি বদলে যাবে৷’