ইসলামাবাদ: ডেপুটি স্পিকারের এক সিদ্ধান্তই গদি বাঁচিয়ে দিল ইমরান খানের৷ রবিবার পাক সংসদে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাবের উপর ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল৷ তা খারিজ করে দেন ডেপুটি স্পিকার৷ ফলে উইকেট বাঁচিয়ে আপাতত ক্রিজে টিকে গেলেন সুইং সুলতান৷ এরপরই দেশের মানুষের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত হন৷ বহিরাগত শক্তির সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে আনা হয়েছিল অনাস্থা প্রস্তাব৷ তা বানচাল হওয়ায় খুশি পাকিস্তানের মানুষ৷’ রাষ্ট্রপতিকে সংসদ ভেঙে নির্বাচন এগিয়ে আনার পরামর্শ দেন ইমরান৷ আপাতত কেয়ারটেকার সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন তিনি৷
এদিন অবশ্য ইমরান খান সংসদে যাননি৷ কিন্তু তাঁর অনুগামীরা সংসদের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান৷ পুলিস তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে ধস্তাধস্তি হয়৷ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি৷ সংসদের ভিতরেও তখন তুলকালাম চলছে৷ ডেপুটি স্পিকারের সিদ্ধান্তকে ‘অসাংবিধানিক’ বলে উল্লেখ করেন বিরোধীরা৷ পাকিস্তান মুসলিম লিগ (এন)-এর নেতা মারয়াম আউরঙ্গজেব বলেন, ‘সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আমরা সংসদ ছাড়ব না৷’ টুইট করে পাক সংসদের বিরোধী নেতা শেহবাজ শরিফ লেখেন, এটা বিশ্বাসঘাতকতা ছাড়া আর কিছু নয়৷ ইমরান খান দেশকে নৈরাজ্যের মধ্যে ঠেলে দিয়েছে৷ এটা সংবিধান লঙ্ঘন৷ আশা করছি সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানের মর্যাদা ক্ষুন্ন রাখবে৷’
It is nothing short of a high treason. IK has pushed the country into anarchy. Niazi & his cohort will not be allowed to go scot-free. There will be consequences for blatant & brazen violation of the Constitution. Hope SC will play it's role to uphold the Constitution.
— Shehbaz Sharif (@CMShehbaz) April 3, 2022
এরপরই এককাট্টা বিরোধীরা জানান, তাঁরা ডেপুটি স্পিকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাবেন৷ বিরোধীরা আদালতে ছুটতেই পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে৷ অন্যদিকে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির বাইরে পুলিসি নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়৷ গোটা ঘটনার সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখছে পাক সেনাবাহিনী৷ জানিয়েছে, সংসদ ভেঙে দেওয়ার পিছনে তাদের কোনও ভূমিকা নেই৷
আরও পড়ুন: Pakistan Election: ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন, জানাল পাক সরকার