কলকাতা: আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (Aliah University) নজিরবিহীন ঘটনা। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ঘরে ঢুকে বহিষ্কৃত ছাত্রনেতার তাণ্ডব। অকথ্য ভাষায় গালাগালি, কটুক্তি, খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল ছাত্র পরিষদের এক প্রাক্তন নেতার বিরুদ্ধে। ভাইরাল হয় সেই ভিডিয়ো। যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি কলকাতা টিভি ডিজিটাল।
ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (Aliah University Controversy) উপাচার্যের ঘরে ঢুকে একেবারে তাণ্ডব চালাচ্ছে কয়েকজন প্রাক্তন ছাত্র। সেখানে উপাচার্যকে চড় মারার হুমকি ও অকথ্য ভাষায় গালাগালি দিতে দেখা যায় তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন ইউনিট সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মণ্ডলকে। সেখানে ছিলেন আরও কয়েকজন বহিরাগত। তাদের মধ্যে একজন ভিডিয়োটি করেছেন। কিন্তু তাদের মুখের ভাষা এতোটাই অশালীন, যা প্রকাশের অযোগ্য। ভিডিয়োতে প্রাণনাশের হুমকি দিতেও শোনা যায় উপাচার্যকে।
সূত্রের খবর, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তোলাবাজি, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি সহ একাধিক অভিযোগে কিছুদিন আগে বহিষ্কার করা হয় গিয়াসউদ্দিন মণ্ডল নামে ওই ছাত্রনেতাকে। বহিষ্কারের কয়েকদিনের মধ্যেই তিনজন বহিরাগতকে নিয়ে ঢোকেন তিনি। কলেজের পিএইচডি লিস্টে স্বজনপোষণ করেছে উপাচার্য, এমন অভিযোগ তুলেই বচসার শুরু হয়। তারপর শুরু হয় অকথ্য ভাষায় গালাগালি, মারার হুমকি। ভিডিয়োতে উপাচার্যকে লক্ষ করে বলতে শোনা গেছে, এই আলিয়ার বেহাল অবস্থা কে করেছে? আলিয়ার বেহাল অবস্থা করার জন্য তুইই দায়ী। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের শান্ত করানোর চেষ্টা করলে তাদেরও গালাগালি দিতে শোনা যায় বহিরাগত ছাত্রদের। ভিডিয়োতে এও দেখা যাচ্ছে, নিজের ফোন নিতে চেয়েছিলেন উপাচার্য। তাঁকে ফোন নিতে তো দেওয়া হয়নি, তার উপর ফোন ভেঙে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Weather Forecast: দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পূর্বাভাস, কলকাতায় কবে? জেনে নিন
এই ঘটনা প্রসঙ্গে উপাচার্য মুহাম্মদ আলি জানান, সাহায্য চেয়ে পুলিসকে ফোন করলেও সেদিক থেকে কোনও সাহায্য পাননি তিনি। এদিকে প্রাক্তন ছাত্রনেতার অভিযোগ, উপাচার্য কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। তার উপর বিনা কারণে তিনি ছাত্রনেতাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত করেছেন। সেই সমস্ত বিষয় নিয়েই কথা বলতে গিয়েছিলেন তাঁরা।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছ নিন্দার ঝড়। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালন কমিটি এই গোটা ঘটনার আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে বলে জানা গিয়েছে।