রামপুরহাট: বগটুইকাণ্ডে জখম (Rampurhat political violence) আরও একজনের মৃত্যু হল রামপুরহাট হাসপাতালে। সোমবার দুপুরে বগটুইয়ে ৬০ শতাংশ দগ্ধ অবস্থায় ভর্তি থাকা নাজিমাবিবির (৩৫) মৃত্যু হয়। এনিয়ে অগ্নিকাণ্ডের (Political Violence) ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৯।
দুপুরে নাজিমাবিবির মৃত্যুর খবর (Birbhum Rampurhat Fire Deaths) তাঁর বাড়িতে আসতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন মেয়ে সাজিনাবিবি। ঘরের মেঝে চাপড়ে তিনি চিৎকার করে খুনিদের ফাঁসির দাবি করেন। মায়ের মৃত্যুতে আত্মহারা সাজিনা বলেন, তাঁর মাকে যারা পুড়িয়ে মেরেছে, তাদের যেন একটি ঘরে বন্ধ করে মারা হয়। আমি তাদের ফাঁসি চাই।
গত সোমবার, ২১ মার্চ রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে তৃণমূল উপপ্রধান ভাদু শেখ খুন হন। এই ঘটনার পরই প্রতিহিংসাবশত ভাদুর অনুগামীরা প্রায় ১০টি বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। তাতে মোট ৮ জন পুড়ে মারা যায়। অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ৪ জনকে ভর্তি করা হয় রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) রামপুরহাটে এসে হাসপাতালে গিয়ে জখমদের সঙ্গে দেখা করেন এবং ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেন। নাজিমাবিবিকে কলকাতায় এনে চিকিৎসার ইচ্ছাপ্রকাশ করলেও ডাক্তাররা জানিয়ে দেন, এই অবস্থায় তাঁকে সরানো বিপজ্জনক।
আরও পড়ুন- Rampurhat Violence: বগটুই কাণ্ডে আনারুল হোসেনের কথার সঙ্গে মিহিলালের বক্তব্য মিলিয়ে দেখবে সিবিআই
তখন মুখ্যমন্ত্রী বলেন যে, তাহলে কলকাতা থেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার এনে তাঁর চিকিৎসা করা হবে। এই বাবদ ১ লক্ষ টাকা সাহায্য ঘোষণা করেন তিনি। প্রায় আটদিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা কষার পর সোমবার দুপুরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন নাজিমাবিবি। তাঁর মৃত্যুর খবর গ্রামে আসতেই ফের শোকে ভেঙে পড়ে গোটা গ্রাম।