বগটুই: সকালেই উদ্ধার হয়েছিল শাবল, কুড়ুল। আর রবিবার সন্ধেয় সোনা শেখের বাড়ি থেকে জার উদ্ধার করল সিবিআইয়ের ফরেনসিক টিম। যদিও ওই জারে কী আছে তা জানা যায়নি। সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসারদের অনুমান, ওই জারের তরল পদার্থ দিয়েই আগুন লাগানো হয়েছিল। এদিকে রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে (Rampurhat Violence) নিহতদের পরিবারের অন্যতম সদস্য মিহিলাল শেখকে তলব করলেন সিবিআইয়ের (CBI) তদন্তকারী অফিসাররা।
সোমবার রামপুরহাটে সিবিআইয়ের অস্থায়ী অফিসে তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেন ও মিহিলালকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। রবিবার সন্ধেয় সিবিআই দফতর থেকে নিহতদের পরিবারের সদস্য মিহিলাল শেখকে ফোনে জানানো হয়, সোমবার দেখা করার জন্য। সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ মিহিলাল গ্রামে যাবেন।
রবিবার পোড়া বাড়ি থেকে সিবিআই এবং ফরেনসিক দলের সদস্যরা কুড়ুল, শাবল উদ্ধার করেন। যা দেখে সিবিআই কর্তাদের প্রাথমিক সন্দেহ, সেদিন রাতে খুন করে বা আধমরা করে ওই ৭ জনকে ঘরের মধ্যে ফেলে রাখা হয়েছিল। তারপর আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। যদিও তদন্তের এখনও অনেকটাই বাকি। এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: Rampurhat Violence: উদ্ধার হওয়া শাবল দিয়েই মারা হয়েছিল পুড়ে খাক হওয়া মানুষগুলোকে?
সোমবার রাতে বীরভূমের বগটুই মোড়ে খুন হন তৃণমূলের পঞ্চায়েত উপপ্রধান ভাদু শেখ৷ তাঁর মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বগটুই গ্রামে তাণ্ডব চালায় একদল যুবক৷ আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় কয়েকটি বাড়িতে৷ সেই আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় ৭ জনের৷ নিহতদের অধিকাংশ মহিলা ও শিশু৷ মঙ্গলবার সকাল থেকেই চরমে ওঠে রাজনৈতিক চাপানউতোর৷
রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে একসুরে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করছে বিরোধীরা৷ ঘটনার নিন্দায় বুধবার মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ বগটুইয়ের ঘটনাকে ‘জঘন্য অপরাধ’ বলে মন্তব্য করেন৷ পাশাপাশি তদন্তে রাজ্যকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দেন৷ ৭ জনের মৃত্যুর ঘটনায় প্রথম থেকেই ‘বৃহত্তর রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রে’র অভিযোগে সরব তৃণমূল৷ প্রথমে সিট ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার হাতে পেয়েছে সিবিআই।