রামপুরহাট: ষড়যন্ত্র! রবিবার ঠিক এই ভাষাতেই বগটুই কাণ্ডে (Birbhum Rampurhat Fire Deaths) অভিযুক্ত সদ্য বহিষ্কৃত তৃণমূলের ব্লক প্রেসিডেন্ট (Tmc Block President) আনারুল হোসেন (Anarul Hossain) তাঁর গ্রেফতারির ব্যাখ্যা দিলেন। রামপুরহাটের বগটুইয়ে হত্যালীলায় (Rampurhat political violence) খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) আনারুলকে আত্মসমর্পণ অথবা গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। শুক্রবার ধৃত আনারুলকে রামপুরহাট মহকুমা আদালতে তোলার সময়ও বলেছিলেন, তিনি নির্দোষ। তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। ঠিক একই ভাষাতেই আনারুলকে সিবিআই (CBI) হেফাজতে নেওয়ার পর তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র, ষড়যন্ত্র।
কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ অনুযায়ী, সিবিআই বগটুই (Birbhum Rampurhat) কাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে। সেই মতো রবিবার দুপুরে রামপুরহাট থানা থেকে আনারুল হোসেনকে হেফাজতে নেয় তারা। সেখান থেকে প্রিজন ভ্যানে করে রামপুরহাট শহরের ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের অথিতিশালা পান্থশ্রীতে নিয়ে যাওয়া হয়। এই পান্থশ্রীতেই আপাতত সিবিআইয়ের অস্থায়ী শিবির করা হয়েছে।
গাড়িতে তোলার সময় একদা জেলার দাপুটে নেতা আনারুলকে কার্যত বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল। সাদা পাজামা-পাঞ্জাবির উপর মাথা গামছা দিয়ে সম্পূর্ণ ঢাকা ছিল। গাড়িতে ওঠার মুহূর্তে সাংবাদিকরা ছেঁকে ধরেন আনারুলকে, যার বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী যেখান থেকে হোক গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে কি চক্রান্ত করা হচ্ছে? এই প্রশ্নের জবাবে পিছন ফিরেই আনারুল উত্তর দেন, ষড়যন্ত্র। পুলিসের গাড়ির জালে ঘেরা জানালার ধারে বসা আনারুলের কাছে আরও জানতে চাওয়া হয়, কারা ষড়যন্ত্র করছে। এর জবাবে তিনি বলেন, বিরোধী এবং কিছু লোক আছে, যারা টিভিতে বলছে। তিনি বলেন, সিবিআই সিবিআইয়ের কাজ করছে।
আরও পড়ুন- Rampurhat-CBI Investigation: জখমদের সঙ্গে কথা বলার হাসপাতালের অনুমতি পাবে কি সিবিআই?
তবে, টিভিতে যারা বলছে তাঁদের মধ্যে তাঁর নিজের দল তৃণমূলের কেউ আছে কি না, বারবার একই প্রশ্ন করা হলেও জবাব দেননি আনারুল। তাহলে আনারুল কি কারও নাম বলতে ভয় পাচ্ছেন? উঠছে এই প্রশ্ন। এর উত্তর কি আনারুল সিবিআই অফিসারদের সামনেই বলবেন? এই সন্দেহও দানা বাঁধছে অনেকের মনে। সূত্রে জানা যাচ্ছে, এদিন ধৃতদের মধ্যে শুধুমাত্র আনারুলকেই জেরা করার জন্য নিয়ে গিয়েছে সিবিআই। দিনভর জেরা করে তাঁকে রাতে রামপুরহাট থানায় সিবিআই হেফাজতে রাখা হতে পারে। আবার পান্থশ্রীতেও আলাদা ব্যবস্থা করে তাঁকে রেখে দেওয়া হতে পারে। কারণ সিবিআইয়ের নিরাপত্তায় ইতিমধ্যেই আধাসেনা মোতায়েন করা হয়েছে।