কলকাতা: এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর (Chief Minister Mamata Banerjee) সঙ্গে তাঁর আদায় কাঁচকলা সম্পর্ক। টুইটে, সাংবাদিক বৈঠকে বারে বারেই সেই তিক্ততার সম্পর্ক প্রকাশ্যে এসেছে। বিধানসভা চত্বরে দাঁড়িয়েও তাঁকে বেশ কয়েকবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা গিয়েছে। কার কথা বলা হচ্ছে তা এতক্ষণে হয়তো পরিষ্কার। সেই ব্যক্তিটি হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)।
শুক্রবার রাজস্থানের জয়পুরে পুরো ভোল পালটে গেল ধনখড়ের। সম্পূর্ণ উলটো সুরে তিনি বললেন, ‘মমতার সঙ্গে আমার ভাই বোনের মতো সম্পর্ক’।রাজ্যের সঙ্গের সংঘাত এড়িয়ে গিয়ে তাঁর স্পষ্ট মন্তব্য, ‘অনেক সময় অজ্ঞতার কারণে ঝগড়া হয়। আমি কেবল সংবিধানের আওতায় কাজ করতে পারি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আমার সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। ভাই-বোনের সম্পর্কের মতো।
রাজ্যপালের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই ধনখড়ের সঙ্গে পদে পদে সংঘাত বেঁধেছে শাসকদলের। মুখ্যমন্ত্রীর থেকে শুরু করে তাবর নেতা মন্ত্রীর মুখে শোনা গিয়েছে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কড়া আক্রমণ। তিনিও তার পালটা দিতে ছাড়েননি। চিঠি পালতা চিঠিতে সংঘাত চরমে উঠেছে। রামপুরহাটের হত্যালীলা নিয়েও মঙ্গলবার, ঘটনার দিনই রাজ্যপাল কড়া চিঠি লিখে আক্রমণ শানান রাজ্য সরকারকে। জবাবে আরও কড়া ভাষায় রাজ্যপালকে চিঠি দেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।
তিন দিন কাটতে না কাটতেই সংঘাতের বদলে সমঝোতার সুর। শুক্রবার রাজস্থানে তিনি বলেন, ‘আমি নিয়োগের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ মেনে চলি। তবে ২৫ জন উপাচার্যকে আমার অনুমোদন ছাড়াই নিয়োগ করা হয়েছিল। আমাকে প্রতিটি বিষয় সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর অবহিত করা উচিত।ছিল। কিন্তু আড়াই বছর ধরে কোনও কিছু সম্পর্কে আমাকে তথ্য দেওয়া হয়নি। সামান্য ভুল বোঝাবুঝির কারণেই সমস্যা হয়েছিল। ‘
আরও পড়ুন Anis Khan Death Case: আনিসের বাড়ির পথে বিক্ষোভের মুখে ফিরহাদ, বাধ্য হলেন ফিরতে