বীরভূম: বগটুই হত্যাকাণ্ডে(Rampurhat Fire Deaths) আরও দু’জনকে আটক করল রামপুরহাট থানার পুলিস। রামপুরহাট অগ্নিকাণ্ডের(Rapurhat Violence) ঘটনায় সাতজনের মৃত্যু হয়। তখনই রাজেশ শেখ এর নাম উঠে আসে। ঘটনার পর থেকেই রাজেশের খোঁজে পুলিস তল্লাশি শুরু করে। বৃহস্পতিবার রাতে রাজেশ সহ দু’জনকে বগটুই(Rampurhat Clash) থেকে আটক করে রামপুরহাট থানার পুলিস।
বৃহস্পতিবার বগটুই গ্রামে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই মুখ্যমন্ত্রী রামপুরহাট ১ এক নম্বর তৃণমূল ব্লক সভাপতি আনারুলের হোসেনকে গ্রেফতার করার নির্দেশ দেন। এরপরই তৎপর হয় প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আড়াই ঘন্টার মধ্যেই গ্রেফতার করা হয় আনারুলকে। বগটুই গ্রামকে নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়। ডিজি পদমর্যাদার আধিকারিক এর নেতৃত্বে ৫০ জন পুলিস কর্মীকে সর্বক্ষণের জন্য গ্রামে মোতায়েন করা হয়। এমনকী গ্রাম জুড়ে সিসিটিভি ফুটেজ বসানো হয়।
তৎপরতার সঙ্গে রামপুরহাট কাণ্ডে যুক্ত বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করে রামপুরহাট থানার পুলিস। বৃহস্পতিবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই গ্রামেরই এক জুনের বাড়ি থেকে রাজেশ সহ আরো একজনকে আটক করে পুলিস। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার পর থেকে আত্মগোপন করেছিলেন রাজেশ। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে পাওয়া পরই অভিযানে নামে রামপুরহাট থানার পুলিস। দফায় দফায় তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি ঘটনার দিন এদের কী ভূমিকা ছিল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
আরও পডুন: Weather Forecast: সকাল থেকেই মুখ ভার আকাশের, রয়েছে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা
উল্লেখ্য, শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটায় রামপুরহাট মামলার রায় দেবে কলকাতা হাইকোর্ট। রামপুরহাটের ওই ঘটনায় সিবিআই তদন্ত সহ একাধিক দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে বেশ কয়েকটি মামলা হয়েছে।