রামপুরহাট: বেলা ১টা ২৯ । নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর ।
বেলা ১ টা ৪৬ । রামপুরহাট শহর লাগোয়া সন্ধিপুরে অট্টালিকা । ঘিরে ফেলল বিশাল পুলিস বাহিনী । ঘরের মধ্যে ঢুকে চলল চিরুনি তল্লাশি । বাইরে তখন হাজারো কৌতুহলী চোখের চাউনি ।
বিকেল ৩ টে ৫০ । গ্রেফতার করা হল রামপুরহাট ১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি আনারুল হোসেন ।
আনারুল-রামপুরহাট-মমতা । এই ত্রিভুজকে বোধ হয় বৃহস্পতিবার এ ভাবেই ব্যাখ্যা করা চলে ।
বগটুই গ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের মাত্র আড়াই ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করা হল আনারুল শেখকে । গ্রেফতার করা হয় তারাপীঠ থেকে ৷ আনা হল তারাপীঠ থানায় রাখা হয়েছে ৷ শুরু হয় পুলিসের জিজ্ঞাসাবাদ ।
আনারুল শেখ। রামপুরহাট ১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি । বৃহস্পতিবার । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে পৌঁছন । আক্রন্তের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন । মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বেশ কিছু দিন ধরেই আনারুল শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ শুনেছি । ঘটনার পর তার নাম উঠে এসেছে । দ্রুত আত্মসমর্পণ করতে হবে তাকে । তা না হলে পুলিসকে নির্দেশ দেব, যেখান থেকে হোক তাকে গ্রেফতার করতে হবে। কোনও রকম অন্যায়কে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না । দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে । আমি এর মধ্যে কোনও ভাবে হস্তক্ষেপ করব না।’
কিন্তু, ১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতিকে গ্রেফতারের নির্দেশ কেন? রামপুরহাট ১ নং ব্লক সভাপতি তৃণমূল ব্লক সভাপতি আনারুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বেঁচে যাওয়া বাসিন্দা মিহিলাল শেখ । পুলিস পাঠানোর কথা বললেও নাকি তা পালন করেননি আনারুল । রয়েছে আরও অনেক-অনেক অভিযোগ ।
পুলিস জানিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরই সব রকম চেষ্টা শুরু হয় । বাড়িতে যাওয়া । আত্মীরদের সঙ্গে কথা বলা । শুরু হয় আনারুলের মোবাইল ফোনের লোকেশন খোঁজাও । তখনই তার অবস্থান জানতে পারে পুলিস । সেই মতো আটক করে থানায় আনা হয় আনারুলকে । পরে গ্রেফতার করা হয় তাকে ।