কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নির্দেশ দিয়েছেন। বলেছেন, অবিলম্বে আত্মসমর্পণ করতে হবে। যদি এই কথা না মানে, তাহলে গ্রেফতার করতে হবে আনারুল হোসেনকে (Anarul Hossain)। আনারুল হোসেন মানে রামপুরহাট ১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি। মমতা এই নির্দেশ দেওয়ার পরই আনারুলের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে কলকাতা টিভি ডিজিটাল। ফোন করা হয় তৃণমূলের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতাকে। কিন্তু ফোন কেটে দেন তিনি। এর পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, কোথায় লুকিয়ে রয়েছেন আনারুল?
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পরই আনারুলের হোসেনের বাড়িতে পৌঁছয় বিশাল পুলিস বাহিনী। গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলা হয়। কোথায় রয়েছেন আনারুল হোসেন? সেটা পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসা করা হয়। বাড়িতে ঢোকেন পুলিস আধিকারিকরা। তন্নতন্ন করে খোঁজা হয় প্রতিটি জায়গা। যদিও আনারুলের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
একদিকে বাড়িতে না থাকা, অন্যদিকে কলকাতা টিভি ডিজিটালের ফোন কেটে দেওয়া, দুটি ঘটনা কাকতালীয় ভাবে মিলে যাচ্ছে। এদিকে মমতা স্পষ্ট করে দিয়েছেন, দোষদের কোনও ভাবেও ছেড়ে দেওয়া হবে না। যেখান থেকে হোক খুঁজে বের করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সেদিন বলার পরেও ঘটনাস্থলে পুলিস পাঠানো হয়নি। এরকমটা চলতে পারে না। যেখান থেকে হোক অভিযুক্তদের ধরতে হবে, কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এমন করে কেস তৈরি করতে হবে, যাতে অভিযুক্তরা কোনওভাবেই মুক্তি না পায়।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee Rampurhat: গ্রামছাড়াদের ঘরে ফেরান, নিরাপত্তা দিন, ডিজিকে নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
যদিও অন্য একটি সংবাদমাধ্যমকে আনারুল জানিয়েছেন, তিনি সম্পূর্ণ নির্দোষ। গ্রামবাসীরা তাঁর নামে মিথ্যে অভিযোগ করছেন। আত্মসমর্পণের বিষয়ে জেলার নেতাদের সঙ্গে কথা বলছেন। আনারুলের কথায়, ‘ঘটনাস্থল থেকে আমার বাড়ি অনেকটাই দূরে। ওইদিন আমি কাউকে বগটুই গ্রামে পাঠায়নি।’ ঘটনার সময় হাসপাতালে ছিলেন বলে দাবি করেছেন রামপুরহাট ১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি।