রামপুরহাট: বগটুইগ্রামে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বৃহস্পতিবার সকালে ডুমুরজলা থেকে কপ্টারে রামপুরহাটের দিকে রওনা দেন তিনি৷ বুধবারই জানিয়েছিলেন, আজ রামপুরহাটের বগটুইয়ে যাবেন তিনি৷
মুখ্যমন্ত্রী আসছেন৷ এজন্যই সকাল থেকে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয় গোটা এলাকা৷ সোমবার রাতে বগটুই গ্রামে যেখানে হত্যাকাণ্ডে ঘটেছিল সেখানে যাওয়ার কথা তাঁর৷ কথা বলবেন, নিহতদের পরিবারের সঙ্গে৷ আহতদের সঙ্গে কথা বলতে হাসপাতালে যাওয়ার কথা তাঁর৷
হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে দেখা করার পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন,‘‘কেমন আছেন চিকিৎসকরা বলবেন৷ একজন ৬০ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ৷ আর একজনের লোয়ার পার্ট পুড়ে গেছে৷ একটা বাচ্চাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে৷ সবার ভালো হোক এটাই চাইছি৷’’
হাসপাতাল সুপারের সঙ্গে কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী৷
হাসাপাতালের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা মমতার৷
রামপুরহাট হাসপাতালে পৌঁছলেন মমতা৷
রামপুরহাট হাসপাতালে যাচ্ছেন মমতা৷
মমতা বলেন:
-ঘটনার পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র রয়েছে৷
-৬০ শতাংশ অগ্নিদগ্ধ মহিলাকে ১ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ৷
-দোষীরা যেখানেই থাকুক ধরে আনুন৷
-আনারুলকে জানানো সত্ত্বেও পুলিস পাঠায়নি৷
-নিহতদের পরিবার পিছু ৫ লাখ করে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা৷
– তিন জখম শিশুকে ৫০ হাজার করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে৷
-শুধু কয়েকটা লোকের জন্য অশান্তি৷
– প্রত্যেকের গ্রামে ফেরার ব্যবস্থা করতে হবে৷
-আহতদের ৫০ হাজার করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে৷
-ক্ষতিগ্রস্তদের বাড়ি তৈরির জন্য ২ লাখ করে টাকা৷
– পাড়ার লোকেরা পাড়ায় থাকবে৷ পুলিসি পিকেট কড়া হবে৷
-দশটা পরিবারের হাতে এক লাখ টাকা করে ১০টি চেক তুলেদিলেন মমতা৷
-তদন্ত তদন্তের পথে চলবে। আমি এর মধ্যে কোনও ভাবে হস্তক্ষেপ করব না।
-দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। যে পুলিশ অফিসার এর মধ্যে জড়িত, তাঁদেরও ছাড়া হবে না।
-রাজ্যজুড়ে অস্ত্র উদ্ধারের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রী৷ দশজনকে মুখ্যমন্ত্রীর কোটা থেকে চাকরির ব্যবস্থা৷
-যাদের ঘর বাড়ি পুড়ে গেছে৷ তাদের ১ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে৷
-পুলিস পিকেটিংয়ের ব্যবস্থা কড়া করতে হবে৷
– আনারুল শেখকে গ্রেফতার করা হবে৷
– আইসি দায়িত্ব পালন করেনি৷
– যারা দায়িত্ব পালন করেনি তাঁদের শাস্তি চাই৷
– দশটা বাড়িতে আগুন লেগেছে৷
– কী ঘটেছিল সেদিন, মমতাকে জানাচ্ছেন স্থানীয়রা
– মমতার সামনে কান্নায় ভেঙে পড়লেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা
– নিহতদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলছেন মুখ্যমন্ত্রী৷