কলকাতা: রামপুরহাটের (Rampurhat political violence) ঘটনায় পুলিসমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পদত্যাগের দাবিতে টানা বিক্ষোভ দেখিয়ে বৃহস্পতিবার বিধানসভা (Assembly) থেকে ওয়াকআউট করলেন বিজেপি (BJP) সদস্যরা। এদিন বেলা ১১টায় বিধানসভার অধিবেশন শুরু হতেই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary) নেতৃত্বে বিজেপি সদস্যরা ওয়েলে নেমে স্লোগান দিতে থাকেন। দাবি ওঠে, পুলিসমন্ত্রীর পদত্যাগ চাই। অনেকের হাতে এই দাবিসম্বলিত প্ল্যাকার্ডও দেখা যায়।
বিরোধী সদস্যদের স্লোগান, চিৎকার চেঁচামেচির মধ্যেই সভার কাজ চলে। পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম উত্তরবঙ্গ পরিবহণ নিগমের তিন বছরের বার্ষিক আয়-ব্যায়ের হিসেব এবং তার প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। স্বাস্থ্য খাতের ব্যয় বরাদ্দের প্রস্তাব পেশ করেন নির্মল মাঝি। অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার বিরোধী সদস্যদের নিজের নিজের আসনে বসার অনুরোধ করলেও তাঁরা স্লোগান চালিয়ে যেতে থাকে।
টানা আধ ঘণ্টা ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখানোর পর সাড়ে ১১টা নাগাদ বিজেপি সদস্যরা ওয়াকআউট করেন। পরে বিধানসভার লবিতেও বিজেপি বিধায়করা বিক্ষোভ অবস্থান চালিয়ে যান। সেখানে বিরোধী দলনেতা বলেন, আমাদের একটাই দাবি, পুলিসমন্ত্রীকে ইস্তফা দিতে হবে। ঘটনার তিন দিন পরেও কেন মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় হাজির হয়ে রামপুরহাটের ব্যাপারে বিবৃতি দেবেন না।
গত তিনদিন ধরেই রামপুরহাটের ঘটনা নিয়ে বিজেপি বিধানসভার ভিতরে এবং বাইরে বিক্ষোভ চালিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবারও শুভেন্দু অধিকারী প্রশ্ন তুলেছিলেন, রামপুরহাটে এতো বড় ঘটনার পরেও মুখ্যমন্ত্রী কেন বিধানসভায় অনুপস্থিত? কেন বিধানসভা চলাকালীন সিট গঠনের সিদ্ধান্ত বিধানসভায় না জানিয়ে নবান্নে জানান হল? ওই দিন বিজেপি বিধায়করা বিধানসভা থেকে মিছিল করে রাজভবনে যান। রাজভবন থেকে তাঁরা দার্জিলিঙয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন। রাজ্যপালের কাছে তাঁদের অনুরোধ ছিল অবিলম্বে কেন্দ্রীয় হস্তপক্ষেপের ব্যাপারে তাঁকে উদ্যোগ নিতে হবে। বুধবার বিজেপি বিধায়করা দল বেঁধে যান রামপুরহাটে। তাঁদের সফর নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।