রামপুরহাট: বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই হিংসাকাণ্ডে ধৃত ২০ জনকে আদালতে পেশ করা হয়েছে। রামপুরহাট মহকুমা আদালতে পেশ করেছে রামপুরহাট থানারা পুলিস। সূত্রের দাবি, ঘটনার পর থেকে মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত মোট ২০ জনকে ধাপে ধাপে গ্রেফতার করে পুলিস। তাঁদের আজ আদালতে তোলা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ধৃতদের মধ্যে মৃত ভাদু শেখের নিকটাত্মীয়রাও রয়েছেন। আর অধিকাংশজনই বগটুই গ্রামের বাসিন্দা।
যাদের আজ আদালতে তোলা হল—
আজাদ চৌধুরী
ইনতাজ শেখ
মফিজুল শেখ
অসীম শেখ
রানা শেখ
নজরুল ইসলাম
আজহার শেখ
মোর্তেজ আলি
রোষ্টন শেখ
রোহন শেখ
নাজির হোসেন
মফিজুদ্দিন শেখ
নয়ন দেওয়ান
আসরাফ খান
তৌফিব শেখ
রমজান শেখ
জালাল দেওয়ান
নাসির খান
আমজাত খান
আমিনুল ইসলাম
ধৃতদের রামপুরহাটের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার ভোরে শারীরিক পরীক্ষার পর আদালতে পাঠানো হয়েছে। সূত্রের দাবি, ধৃতদের রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে খুন ও অগ্নিসংযোগের যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে পুলিসের কাছে৷ তার ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা রয়েছে৷ যদিও মৃত ভাদু শেখের স্ত্রী মঙ্গলবার দাবি করেন, তাদের আত্মীয়দের বিনা দোষে পুলিস তুলে নিয়ে গেছে৷ এ দিকে মঙ্গলবার রাতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত আট ব্যক্তিকে কবর দেওয়া হয়েছে৷ যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে৷
এই ঘটনায় উত্তাল বঙ্গ রাজনীতি। বিজেপি যদিও দাবি করে, মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে দেখানো হচ্ছে। ১২ জনকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। এই ঘটনাকে গণহত্যা বলেও বিরোধী দলের নেতারা দাবি করেন। যদিও সরকারি ভাবে আট জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেন বীরভূমের পুলিস সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী। এর মধ্যে সোনা ওরফে সঞ্জু শেখের পরিবারেরই সাত জন।