দিন দিন চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। এদিকে সূর্যের রশ্মির যা তেজ তাতে দিনের বেলায় বাড়ির বাইরে পা রাখলেই ত্বক একেবারে ঝলসে যাওয়ার উপক্রম। এই সময় বাড়ি ফিরে ত্বকের যত্ন নিতে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপকরণ ব্যবহার করতে পারেন যে একদিকে যেমন ত্বকের শুশ্রুষাও হবে তেমনই আবার ত্বক পুনরুজ্জীবিত হয়ে উঠবে। বেড়ে যাবে ত্বকের জৌলুস। এ ক্ষেত্রে ত্বকের পরিচর্যায় ব্যবহার করতে পারেন চন্দন।
চন্দনের অ্যান্টিসেপ্টিক কার্যকারিতা রয়েছে। এটা ত্বককে জীবাণু সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে, এক্সফোলিয়েট করে, রোদে পোড়া ত্বকে আরাম দেয়, সানট্যান দূর করে। তবে এখানেই শেষ নয় ত্বকে বয়সের ছাপ যেমন শুষ্কতা ও চামড়ার কুচকানো ভাব কমিয়ে দেয়।
তাই এই গরমে ত্বকের পরিচর্যা চন্দন দিয়ে বানিয়ে নিন এই সব প্যাক। এগুলি পরিচর্যার পাশাপাশি ত্বক ঠান্ডা করবে ও ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখবে।
চন্দন ও পাতিলেবুর তৈরি মাস্ক
একটি পাত্রে চন্দনের গুড়োর সঙ্গে পাতিলেবুর রস মিশিয়ে নিন। এই প্যাক তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ভীষণ উপকারী। এই মিশ্রণটি ভাল করে মুখে লাগিয়ে নিন এবং প্যাক শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। ফেস প্যাকটি শুকিয়ে গেলে ইষদুষ্ণ জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এর প্যাক সিবামের নিঃসরণ নিয়ন্ত্রণ করেন এবং রোমকূপগুলোকে শক্ত রাখে শিথিল হতে দেয় না।
চন্দন ও টমেটোর তৈরি মাস্ক
একটি পাত্রে ১ টেবিলচামচ শশার রস, ১ টেবিলচামচ পাতিলেবুর রস, আধ চা চামচ মধু ও ১ টেবিলচামচ টমেটোর রস ও ৩ টেবিলচামচ চন্দনের গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার এই প্যাক মুখে লাগিয়ে নিন। প্যাক লাগানোর ২৫ মিনিট পর গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এটা রোদে পোড়া ত্বকে আরাম দেয় এবং ত্বকের পোড়া ভাব কম করে।
চন্দন ও শশার তৈরি মাস্ক
একটি পাত্রে ২ টেবিলচামচ টক দই ও শশার রস সমান পরিমানের চন্দন গুঁড়োর সঙ্গে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে নিন এবং শুকিয়ে গেলে প্লেন জল দিয়ে ধুয়ে নিন। ফল পাবেন হাতে নাতে।
চন্দন ও ডিমের কুসুমের তৈরি মাস্ক
ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল করতে এবং চামড়ার কুচকানো কম করতে এই প্যাক ভীষণ কার্যকরী। একটি পাত্রে একটা ডিমের কুসুম, এক চা চামচ ইয়গহার্ট, ৩ থেকে ৪ টেবিলচামচ চন্দনের গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ ত্বকে লাগিয়ে নিন। এবং ১৫ মিনিট পর এই মাস্ক গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।