কালনা: দলীয় কোন্দলে বুধবার কালনা পুরসভায় (Kalna Municipality) ভেস্তে গেল শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান৷ এদিন শপথগ্রহণকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ চড়ছিল৷ কালনা পুরসভার দলের ঘোষিত চেয়ারম্যান আনন্দ দত্তকে নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন কাউন্সিলর তপন পোড়েলের অনুগামীরা৷ চেয়ারম্যান পদে তপন পোড়েলকে চেয়ে পুরসভার সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা৷ বিক্ষুব্ধদের বক্তব্য, ১২ জন কাউন্সিলরের সমর্থন পেয়ে তপন পোড়েল দলনেতা নির্বাচিত হন৷ কিন্তু শপথগ্রহণের ঠিক আগে তাঁরা জানতে পারেন আইনশৃঙ্খলার কারণ দেখিয়ে জেলাশাসক চেয়ারম্যান নিযুক্ত করার প্রক্রিয়াকে বাতিল করে দিয়েছেন৷ এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিক্ষুব্ধরা৷
কালনার এক তৃণমূল নেতার কথায়, গণতন্ত্র অনুযায়ী দলনেতা নির্বাচন করা হয়েছে৷ দলবিরোধী কোনও কাজই হয়নি৷ চেয়ারম্যান হিসেবে দুটি নাম উঠে আসে৷ ব্যালটে ভোট হয়৷ ১২-৪ ভোটে তপন পোড়েল জয়ী হন৷ প্রশ্ন উঠছে, আনন্দ দত্তের নামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিলমোহর দিয়েছেন৷ তাহলে কি দলনেত্রীর নির্দেশ উপেক্ষা করছেন তাঁরা? জবাবে তৃণমূল নেতা সুনীল চৌধুরী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কারও নাম ঘোষণা করেননি৷ গতকাল জেলা সভাপতি আনন্দ দত্তের নাম কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেন৷ কিন্তু যাঁরা চেয়ারম্যানের নাম প্রস্তাব করেছেন তাঁর পক্ষে মাত্র ৪টি ভোট পড়েছে৷ অর্থাৎ জেলা সভাপতি এমন একজনের নাম ঘোষণা করেছেন যাঁকে জনপ্রতিনিধিরাই চেয়ারম্যান হিসেবে চাইছেন না৷
এদিকে চেয়ারম্যান নির্বাচনকে ঘিরে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরির পরই নির্বাচন প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় জেলা প্রশাসন৷ তৃণমূল নেতা সুনীল চৌধুরীর বক্তব্য, চেয়ারম্যান প্রক্রিয়া বাতিল হয়েছে ঠিকই, কিন্তু আজ নয় কাল তো চেয়ারম্যান কাউকে না কাউকে করতেই হবে৷ তপন পোড়েলের সমর্থনে ১২ জন কাউন্সিলরের সমর্থন তখনও থাকবে৷