কলকাতা: রাজ্য সরকারকে ব্যতিব্যস্ত করতে সিপিএম. কংগ্রেস ও বিজেপির আঁতাঁত হয়েছে বলে বিধানসভায় অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার স্বরাষ্ট্র দফতরের বাজেট বিতর্কে অংশ নিয়ে মমতা বলেন, রাম-বাম-কংগ্রেস এক হয়েছে। আমরা যখন কাজ করতে চাই, কারখানা করতে চাই, দেউচা পাঁচামিতে বড় প্রকল্প গড়তে চাই তখন ওই তিন মূর্তি হোটেলে বসে মিটিং করে। ওরা কিছু করতে দেবে না। পরিষ্কার বলছি, ওসব করে লাভ হবে না। তৃণমূল সরকার ২০ বছর নয়, ৫০ বছর থাকবে।
গত ১১ বছরে এই প্রথম বিধানসভায় স্বরাষ্ট্র দফতরের বাজেট নিয়ে বিতর্কও হল। প্রতি বছরই অধিকাংশ দফতরেরই বাজেট গিলোটিনে দিয়ে দেওয়া হত। ওই সব দফতরের বাজেট নিয়ে কোনও আলোচনাই হত না। এদিন বাজেট বিতর্কে অংশ নিয়ে ওই কথাই উল্লেখ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পরে বিধানসভার লবিতেও তিনি একই কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণ চলাকালীনই বিরোধী বিজেপি সদস্যরা ওয়াক আউট করেন।
প্রসঙ্গ উত্তরপ্রদেশ:
মুখ্যমন্ত্রী বাজেট ভাষণে বলেন, বিরোধীরা বিধানসভা নির্বাচনে ছাপ্পা ভোটের কথা বলছেন। উত্তরপ্রদেশে কী ভোট হয়েছে? ওখানে তো ইভিএমে কারচুপি হয়েছে। ছাপ্পা ভোট হয়েছে। আমরা ইভিএমের ফরেনসিক তদন্ত দাবি করেছি। ওই অবস্থার মধ্যে সমাজবাদী পার্টির ৫৪টি আসন বেড়েছে। সামনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। তখন টের পাবেন, সবাইকে নিয়ে না চললে কী হয়?
প্রসঙ্গ কেন্দ্রীয় এজেন্সি:
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিজেপি কথায় কথায় সিবিআই, ইডির ভয় দেখায়। জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের ভয় দেখায়। বিধানসভা ভোটের পর মানবাধিকার কমিশনকে নিয়ে এসেছিল। তারা কী করতে পারল? নাড্ডার লেজে কে বা কারা চিমটি কাটল, তখনই আইপিএস অফিসারদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করল। ব্যবস্থা তো আমরা নিয়েছি সঙ্গে সঙ্গে। আর আমি যখন উত্তরপ্রদেশে গিয়েছি, তখন আমাদের বিরুদ্ধে কালো পতাকা দেখানো হয়েছে, বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। উত্তরপ্রদেশ সরকার তো কোনও ব্যবস্থা নেয়নি।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: ভয় পেয়ে পালিয়ে গেল, বিধানসভায় বিজেপির ওয়াকআউট নিয়ে কটাক্ষ মমতার
প্রসঙ্গ রাজ্য পুলিস:
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দিল্লির পুলিস ভাল, বাংলার পুলিস কালো, এটা আমি বিশ্বাস করি না। বাংলার পুলিস যথেষ্ট যোগ্যতার সঙ্গে কাজ করছে। একটা ক্ষুদ্র অংশ খারাপ থাকতেই পারে। তাই বলে কি সবাই খারাপ? এত বড় রাজ্যে দু একটা ঘটনা ঘটেছে। পুলিস সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিয়েছে। দেখতে হবে, সরকার ঠিকঠাক ব্যবস্থা নিচ্ছে কি না। যারা দোষী, তাদের শাস্তি হবেই। উত্তরপ্রদেশে, রাজস্থানে কী হচ্ছে? আমাদের এখানে সিআইডি, এসটিএফ একসঙ্গে কাজ করছে। একটা দুটো ভুল হতেই পারে। দুটো ঘটনা ঘটেছে বলে রাজ্যকে অপরাধীদের হাতে ছেড়ে দিতে হবে? অসম, দিল্লি, ত্রিপুরায় মানুষ বিচার পায় না। একমাত্র বিচার পায় বাংলায়।
প্রসঙ্গ পেগাসাস:
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখন এই এক হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। কিছু হলেই সেখানে ছেড়ে দেওয়া হয়। কয়েকটি রাজ্যও পেগাসাস মেশিন কিনেছে। তিন বছর আগে আমাদের এখানেও এসেছিল বিক্রি করতে। আমি কিনিনি।