পানিহাটি: পানিহাটি পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তের খুনের তদন্তে নেমে পুলিস পরতে পরতে রহস্যের সন্ধান পাচ্ছে। মূল অভিযুক্ত অমিত পণ্ডিতকে দীর্ঘ জেরা করার পর পুলিস মঙ্গলবার রাতে কালনা থেকে গ্রেফতার করে তার পিসতুতো ভাই সঞ্জীব পণ্ডিত ওরফে বাপিকে। পুলিস সূত্রের খবর, সঞ্জীবই অনুপমকে খুন করার ব্যাপারে অমিতকে বরাত দিয়েছিল। সে পানিহাটি পুরসভায় পূর্ত দফতরের ঠিকাদার। অনেকদিন ধরেই অনুপমের সঙ্গে সঞ্জীবের বিরোধ চলছিল বলে পুলিস জানতে পেরেছে।
সূত্রের খবর, এর আগেও অনুপমকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য জিয়ারুল নামে এক সুপারি কিলারকে নিয়োগ করেছিল সঞ্জীব। তাকে প্রায় চার লক্ষ টাকা দেওয়াও হয়েছিল। কিন্তু সে টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। বারবার তাগাদা দেওয়া সত্ত্বেও জিয়ারুল টাকা ফেরত দেয়নি বলে অভিযোগ। পরে তাকে ধরে মারধরও করে সঞ্জীব। অমিতও আদতে হরিণঘাটা থানার বৈকরার বাসিন্দা জিয়ারুল মণ্ডলকে গত ডিসেম্বর মাসে গুলিতে জখম করেছিল। তবে জিয়ারুলের পরিবার এসমস্ত অভিযোগই অস্বীকার করেছে। মঙ্গলবার থেকেই তার বাড়িতে পুলিস পিকেট বসানো হয়েছে। পুলিস জানায়, প্রয়োজন হলে তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
অন্য একটি সূত্রের দাবি, জিয়ারুল কাজ হাসিল করতে না পারায় আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে সঞ্জীব। সে মামাতো ভাই অমিতকে বরাত দেয় অনুপমকে মারার জন্য। তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পেরেছে, অমিত এবং সঞ্জীব দুজনেই বেশ কিছুদিন ধরে নানা অপরাধমূলক কাজকর্মের সঙ্গে জড়িত রয়েছে। তবে রবিবার ঘটনার দিন সঞ্জীব অকুস্থলে ছিল কি না, পুলিস সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত নয়। তারা সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখছে।
আরও পড়ুন: Visva Bharati: বিশ্বভারতীতে আন্দোলনের পিছনে তৃণমূল এবং বামফ্রন্ট, মৌনী ভাঙলেন উপাচার্য
ব্যারাকপুরের পুলিস কমিশনার মনোজ বর্মা জানান, ঘটনার পরই অমিতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই মঙ্গলবার ধরা হয় সঞ্জীবকে। এই ঘটনায় আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে। গ্রেফতার করা হবে তাদেরও। এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে একটি পিস্তল। ধৃতদের ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করানো হবে। এই খুনের পিছনে যে টাকার লেনদেন রয়েছে, তা স্বীকার করেন ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার। তবে টাকার পরিমাণ নিয়ে কিছু বলতে চাননি।