অনেকেই আছেন যাঁদের প্রেমে পড়তে যেমন বেশি সময় লাগে না ঠিক তেমনই প্রেমের ঘোরও কাটিয়ে ফেলেন খুব তাড়াতাড়ি। আবার অনেকেই আছেন যাঁরা সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে প্রাণপণে চেষ্টা করেন। তবে সম্পর্কে ছেঁদ হয় দুই ক্ষেত্রেই। প্রেমিক যুগলের ছাড়াছাড়ি সেই মুহূর্ত হয়ে ওঠে ভীষণ কঠিন, তিক্ততা পূর্ণ। কিছু ক্ষেত্রে এমন যে জীবনের শেষ মুহূর্তে পর্যন্ত একে অপেরের প্রতি সেই তিক্ততা কাটিয়ে উঠতে পারেন না। এক সময় আপনার ধ্যান ধারণার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল যে মানুষটা তার প্রতি চূড়ান্ত তিক্ততা রাখতেও খারাপ লাগে আবার ভুলতেও পারেন না। এক্ষেত্রে নতুন কোনও সম্প্রর্কে বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে পারে এই মনোভাব। তাই মন ভাঙলে কিংবা সম্পর্কের ইতি টানার সময় এলে তা দুজনের মতে নিয়ে, একে অপরের মনোভাব ও পরিস্থিতি বুঝেই সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। ভালবাসার সম্প্রর্ক যাতে বন্ধুত্যপূর্ণ ব্যবহারে শেষ হয় তার জন্য এই বিষয়গুলো মেনে চলুন।
ফোন করে কিংবা টেক্সট করে কোনওদিন ব্রেকআপ করবেন না
ভালবাসার মানুষ সম্পর্কের সব সীমা ছাড়িয়ে না গেলে সামনা সামনি দেখা করেই ব্রেকআপের কথা বলুন। এক্ষেত্রে বেশি জনবহুল জায়গা না বাছলেই ভাল। জনসমক্ষে কান্নাকাটি, চিত্কার, চেঁচামেচি, কথা কাটাকাটি হলে সম্পর্কে মর্যাদা নষ্ট হবে। ভালবাসার মানুষের অন্তত এই টুকুনি শ্রদ্ধা ও সম্মান প্রাপ্য। সামনা সামনি কথা হলে একে অপরের আলোচনার জায়গা থাকব, খারাপ ভাল লাগার বিষয়গুলো খোলাখুলি আলোচনা করলে তিক্ততা থাকবে না।
আবেগতাড়িত যেমন হবেন না তেমন আবার জোর করে রাগ, কান্না মন খারাপ চেপে রাখবেন না
প্রেমিকের সামনে মাত্রাতিরিক্ত আবেগতাড়িত হয়ে পড়বেন না। সম্প্রর্কের শেষে রাগ, কান্না, কষ্ট যাই হোক সেটা বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করে নিন। গুমরে থাকবেন না। তবে দোষারোপের মধ্যে যাবেন না। এই সম্পর্কে এটাই ভবিতব্য ছিল তা মেনে নিতে হবে।
ব্রেকআপের কয়েক মাস পর্যন্ত অন্তত একে অপরের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ রাখবেন না
হতেই পারে আপনার এক সময়ের মনের মানুষ সম্প্রর্কের এই পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না। তাই কোনও না কোনওমতেই আবার জোড়া লাগানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে আপনি এই সম্প্রর্কে কোনও মতেই থাকতে চাইছেন না, এক্ষেত্রে সম্মানজনক ভাবে সম্পর্কের ইতি টেনে কোনও যোগাযোগ রাখবেন না। ফোনে কথা কিংবা টেক্সট করা কিংবা আচমকা কোনও বিশেষ দিনে বন্ধু ভেবে শুভেচ্ছে বার্তার বিনিময় কিচ্ছু না। এতে অপর দিকের মানুষটি গোটা বিষয় নিয়ে ভাবতে পারবেন। আবেগ না ভেসে দোটা পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করবে। এতে আপনি চাপমুক্ত থাকতে পারবেন।