বীরভূম: বিশ্বভারতীতে (Viswa Bharati) অচলাবস্থা অব্যাহত। বৃহস্পতিবারও আন্দোলনরত (Viswa Bharati student agitation) পড়ুয়ারা বিশ্বভারতী চত্বরে মিছিল করলেন। এই আবহেই বেশ কয়েকদিন পর অচলাবস্থা নিয়ে ফের মুখ খুললেন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী।তাঁর বিস্ফোরক মন্তব্য, ‘বিশ্বভারতীতে নোংরা রাজনীতি চলছে। আপামর বাঙালি ও বিশ্ববাসীর কাছে করজোড়ে বিশ্বভারতীকে বাঁচানোর অনুরোধ করছি।’
উপাচার্য আরও বলেন, আদালতের নির্দেশ থাকলেও আমরা বিশ্বভারতীর প্রধান কার্যালয় খুলতে পারছি না। কারণ, সেন্ট্রাল অফিসের পূর্বদিকে অ্যাকাউন্টস বিভাগের টাকা জমা দেওয়ার কাউন্টারে ত্রিপল লাগিয়ে বহিরাগতরা (ছাত্র-ছাত্রীরা) ক্যাম্প করে রয়েছে। ফলে অফিসে কাজ করা যাচ্ছে না। সেন্ট্রাল লাইব্রেরিও খোলা যাচ্ছে না।
হস্টেল খোলা সহ একাধিক দাবিতে টানা দশ দিন ধরে বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ চলছে পড়ুয়াদের। অচলাবস্থা কাটাতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানিতে অবিলম্বে পড়ুয়াদের হস্টেলে ফেরানোর নির্দেশ দেয় আদালত। দরজা বন্ধ থাকলে তালা ভেঙে ঢুকতে দিতে হবে পড়ুয়াদের। এমনও মন্তব্য করেন বিচারপতি। ওইদিন একটি কমিটি গঠনের নির্দেশও দেয় আদালত, যেই কমিটিতে থাকার কথা বিশ্বভারতীর পড়ুয়া এবং পুলিসের প্রতিনিধির। বুধবার পড়ুয়াদের অভিযোগ ছিল, তখন পর্যন্ত বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তাঁদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেনি।
আরও পড়ুন HC On Viswa Bharati: পুলিস বিশ্বভারতীর হস্টেলের তালা ভাঙতে পারবে, নির্দেশ হাইকোর্টের
আদালতের নির্দেশের ৪৮ ঘণ্টা পর বৃহস্পতিবার বিশ্বভারতীর হস্টেল খোলার প্রক্রিয়া শুরু করে বিশেষ কমিটি। খোয়াই ছাত্রী নিবাস, মৈত্রী ছাত্রীনিবাসে যায় ওই কমিটি। তবে ওই কমিটি নিয়েও শুরু হয়েছে বিতর্ক। কারণ, আদালত ওই কমিটিতে ছাত্রদের প্রতিনিধি রাখার কথা বলেছিল। কিন্তু পড়ুয়াদের অভিযোগ, কমিটিতে আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের রাখা হয়নি। কমিটিতে শুধু পুলিস ও বিশ্বভারতীর প্রতিনিধিরা রয়েছেন। আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, আদালতের নির্দেশ অবমাননা করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন Anubrata Mondal: ১৪ মার্চ ফের তলব সিবিআইয়ের, রক্ষাকবচ চেয়ে হাইকোর্টে অনুব্রত