কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: পঞ্জাবে শেষ হাসি হাসতে চলেছেন (Punjab Election Result) অরবিন্দ কেজরিওয়াল। দলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী ভগবন্ত মান (Bhagwant Mann) ধুরি কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছেন। অন্যদিকে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চন্নি চমকপুর সাহিব ও ভদৌর দুটি কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়ে দুটিতেই পিছিয়ে পড়েছেন। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোৎ সিং সিধু অমৃতসর পূর্ব ও স্পিকার রাণা কাঁওয়ারপাল সিং এখনও পর্যন্ত পিছিয়ে রয়েছেন নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীর কাছে। বুথ ফেরত সমীক্ষায় সকলেই প্রায় আভাস দিয়েছিল এবার চন্নিকে উৎখাত করবেন মান।
পাঠানকোট একমাত্র জেলা যেখানে আপ (Aam Aadmi Party) দাঁত ফোটাতে পারেনি। হিন্দু অধ্যুষিত এই জেলার সজ্জনপুর ও বোহায় এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস। পাঠানকোট শহরে এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। মধ্য অমৃতসরে উপমুখ্যমন্ত্রী ও পি সোনি আপ প্রার্থীর থেকে পিছিয়ে রয়েছেন। মোগা বিধানসভা কেন্দ্রে অভিনেতা সোনু সুদের বোন কংগ্রেস প্রার্থী মালবিকা সুদ পিছিয়ে রয়েছেন। ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং পাতিয়ালা নগর কেন্দ্রে পিছিয়ে রয়েছেন।
১১৭ আসন বিশিষ্ট পঞ্জাব বিধানসভায় এবার আপ সকলের পছন্দের ছিল। কেজরিওয়াল পঞ্জাবে পরিবর্তনের ডাক দিয়েছিলেন। তাঁর স্লোগান ছিল ‘বদলাও’ অর্থাৎ বদল কর। অরবিন্দের ডাক ছিল, পঞ্জাবে দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল লুঠের রাজনীতি চালিয়েছে। শিরোমণি অকালি দল ও কংগ্রেস একের পর এক ক্ষমতায় এসে রাজ্যকে নিঃস্ব করেছে। ১৯৬৬ সাল থেকে এই দুই পার্টি পঞ্জাব শাসন করেছে। এবার এই ব্যবস্থার পরিবর্তন হোক। শেষমেশ দ্বিতীয়বার বিধানসভা ভোটে লড়েই অমৃতসরের সিংহাসন দখল করতেই চলেছেন কেজরি। আট বছর দিল্লিতে ক্ষমতায় থাকার পর দ্বিতীয় কোনও রাজ্য দখল করতে চলেছে আম আদমি পার্টি।
আরও পড়ুন: Assembly Election Results Live: ত্রিশঙ্কুর পথে গোয়া বিধানসভা, প্রথম স্থানে বিজেপি
আপের তারকা প্রচারক রাঘব চাড্ডা বলেছেন, এই ফল প্রমাণ করে কংগ্রেসের বিকল্প আমরাই। আজ আমরা জাতীয় দলে উন্নীত হয়েছি। আপ নেতা মণীশ শিসোদিয়া বলেছেন, কেজরিওয়ালের আদর্শ রাজ্য শাসনের নীতির জয় হয়েছে। আপ প্রমাণ করেছে জাতীয় স্তরে এইভাবে রাজ্য শাসন করা সম্ভব।