কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: প্রায় সমস্ত বুথ ফেরত সমীক্ষা বলছে, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পঞ্জাবে ক্ষমতায় আসতে চলেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ। ২০১৭-এর মতো, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আসনের সংখ্যার বিষয়ে বিস্তর তারতম্যও রয়েছে। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, আপ ১১৭ বিধানসভা আসনের পঞ্জাবে ৫৯টি আসন পেতে চলেছে। অর্থাৎ একক বৃহত্তম দল হিসাবে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠাতা পেতে চলেছে।
কিন্তু, তার পরও এই সমীক্ষায় এক চিমটি নুনের ছেটা দিয়েই সমীক্ষা গ্রহণ করছেন পর্যবেক্ষকরা। কারণ, ২০১৭ সালে কিছু সমীক্ষা দেখা যায়, আপ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে পঞ্জাবে ক্ষমতা দখল করছে। কিন্তু ভোটের ফল প্রকাশের পর উল্টো ছবি। আপ পঞ্জাবে মাত্র ২০টি আসন পেয়ে সম্মান রক্ষা করে। ফলে এবারেও ভবিষ্যদ্বাণী ভুল হওয়ার আশঙ্কা থেকে যাচ্ছে।
এবছর টুডে চাণক্য আপকে ১০০টি এবং নিউজ এক্স ৫৬-৬১টি আসন দিয়েছে। টাইমস নাউ ভেটো এবং রিপাবলিক সমীক্ষা দলটিকে সর্বাধিক ৭০টি আসন দিয়েছে। এবিপি নিউজ-সি ভোটার সমীক্ষা বলছে, ১১৭ বিধানসভা আসনের পঞ্জাবে আপ পেতে পারে ৫১-৬১টি আসন। অর্থাৎ একক বৃহত্তম দল হলেও তারা নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠাতা পাবে না। কংগ্রেস ২২-২৮টি। শিরোমণি অকালি দল ২০-২৮ টি আসন পেতে পারে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহের পঞ্জাব লোক কংগ্রেস এবং বিজেপি-র জোটের ঝুলিতে যেতে পারে ৭-১৩টি আসন।
নিউজ এক্স কংগ্রেসকে ২৪-২৯টি সিট দিয়েছে। চাণক্য দিয়েছে ১০টি, টাইমস নাউ ভেটো ২২টি এবং রিপাবলিক ২৩-৩১টি আসন দিয়েছে। সমস্ত সমীক্ষায় ইঙ্গিত পঞ্জাবে বিজেপি দুই অঙ্কে পৌঁছাবে না।
আরও পড়ুন-Jagdeep Dhankhar: বিধানসভার বিশৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা চেয়ে অধ্যক্ষকে চিঠি রাজ্যপালের
পঞ্জাবে ২.১৪ কোটি ভোটার রয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১.৫৪ কোটি মানুষ ব্যালট পেপারে ভোট দিয়েছেন। যা ২০১৭ সালের বিধানসভা ভোটের তুলনায় কম। পঞ্জাব কংগ্রেসের হরিশ চৌধুরী দাবি, “আমাদের দল সরকার গঠন করবে। একটি স্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠ। চরঞ্জিত চন্নির মুখ্যমন্ত্রী থাকাকালে মানুষ উন্নতি দেখেছে।” তাই তিনি বুথ ফের সমীক্ষা “ভিত্তিহীন” বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
এসএডি মুখপাত্র ডিএস চিমার দাবি, আকালিরা ক্ষমতায় ফিরছে। “প্রি-পোল এবং এক্সিট পোল সমীক্ষা আগের নির্বাচনে মেলেনি। এবারও এর ব্যাতিক্রম হবে না।” উল্লেখ্য, অনেক সময়েই বুথ ফেরত সমীক্ষার পূর্বাভাস মেলে না। আবার ভোটের প্রকৃত ফল মিলে যাওয়ার কিছু উদাহরণও রয়েছে।