লখনউ: দলে তীব্র নেতৃত্ব সঙ্কট৷ সংগঠনের অবস্থা শোচনীয়৷ যেটুকু বা শক্তি অবশিষ্ট ছিল, অন্য দলের সঙ্গে জোট করে তাও চলে গিয়েছে৷ এটা শুধু পশ্চিমবঙ্গের ছবি নয়৷ গো-বলয়ের একাধিক রাজ্যে কংগ্রেসের এমনই হতশ্রী চেহারা৷ খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে আনা নিয়েও কোনও হেলদোল নেই নেতাদের। তবুও আগামী বছর উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনে জয়ের স্বপ্ন দেখছে কংগ্রেস৷
আরও পড়ুন: রাফাল ইস্যুতে মোদিকে খোঁচা রাহুলের
বহু বছর ধরে উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতার বাইরে সোনিয়া গান্ধীর দল৷ জাতীয় স্তরে নরেন্দ্র মোদির উত্থানের পর কংগ্রেসের ভিত আরও দূর্বল হয়ে পড়ে৷ ২০২২ সালে যোগী রাজ্যে নির্বাচন৷ কংগ্রেস আশাবাদী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর যোগ্য নেতৃত্বে এবার ঘুরে দাঁড়াবে দল৷ তিনিই পারবেন উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস জমানা ফিরিয়ে আনতে৷ রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অজয় কুমার লাল্লু রবিবার বলেন, ‘প্রিয়াঙ্কার গান্ধীর নেতৃত্বে উত্তরপ্রদেশ নির্বাচন লড়বে দল৷ তাঁর নেতৃত্বেই তিন দশক পর রাজ্যে কামব্যাক করবে কংগ্রেস৷’
এক সংবাদসংস্থাকে অজয় কুমার বলেন, ‘বিধানসভায় সমাজবাদী পার্টির ৪৯ জন বিধায়ক আছে৷ কিন্তু কংগ্রেসের পাঁচ জন বিধায়ক যোগী সরকারের দমনমূলক নানা নীতির বিরুদ্ধে সবচেয়ে সোচ্চার৷ বলা ভালো, কংগ্রেসই বিরোধী দলের মতো ভূমিকা পালন করেছে৷’ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর আক্রমণাত্মক নেতৃত্বের জন্য এই বদল এসেছে৷ অজয় কুমার বলেন, ‘পরিবর্তনের ঝড় উঠবে৷ তার নাম প্রিয়াঙ্কা গান্ধী৷’ দল জিতলে তাহলে ইন্দিরার নাতনিই কি হবেন মুখ্যমন্ত্রী? জবাবে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জানান, সেটা সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব৷
আরও পড়ুন: বকেয়া সাড়ে ৮ লক্ষ, ৩০০ ইউনিট বিদ্যুৎ ছাড়ের দাবি নভজ্যোৎ সিং সিধুর
কিছু দিন আছে সমাজবাদী পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টি সাফ জানিয়ে দেয়, আসন্ন নির্বাচনে বড় কোনও দলের সঙ্গে তারা জোটে যাবে না৷ কংগ্রেস এবার কোনও দলের সঙ্গে জোটে যেতে নারাজ৷ অজয় কুমার বলেন, ‘পরবর্তী সরকার কংগ্রেসেরই হবে৷ আমরা একা লড়ে দলকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনব৷ কোনও দলের সঙ্গে জোটে যাওয়া দরকার পড়বে না৷ বরং আমরা কৃষক, গরিব, মহিলা এবং পিছিয়ে পড়া মানুষদের নানা ইস্যুর সঙ্গে জোট বেঁধে লড়ব৷’