কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: বৃহস্পতিবার কোয়াড নেতৃত্বের বৈঠক (Quad Virtual Meeting) বসছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Narendra Modi) এই ভার্চুয়াল কোয়াড বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া বৈঠকে যোগ দেবেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, অষ্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী কিশিদা। ইউক্রেন-রাশিয়া সংকট নিয়েই মূলত আলোচনা হবে এই বৈঠকে। শেষ কোয়াড বৈঠক (Quad) বসেছিল ওয়াশিংটন ডিসিতে ২০২১ সালেন সেপ্টেম্বর মাসে।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের আবহে এবারের কোয়াড বৈঠক বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। এমন একটা সময়ে কোয়াড বৈঠক হচ্ছে যখন রাষ্ট্রপুঞ্জে ভারত রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদানে বিরত থেকেছে। কোয়াডের বাকি তিন সদস্য খোলাখুলিই রাশিয়ার সমালোচনায় মুখর হয়েছে। কিন্তু ভারত এখনও পর্যন্ত এই সংকটের ব্যাপারে কূটনৈতিক ভারসাম্যের উপরই জোর দিয়ে চলেছে। তারা এখনও পর্যন্ত রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মুখ খোলেনি।
PM @narendramodi will participate along with President of USA @POTUS @JoeBiden, Prime Minister of Australia @ScottMorrisonMP, and Prime Minister of Japan @kishida230 in a Quad Leaders' virtual meeting today.
Press Release ➡️ https://t.co/jEFRFrOiGH
— Randhir Jaiswal (@MEAIndia) March 3, 2022
এই মুহূর্তে ইউক্রেনের উপর রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি সরব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইতিমধ্যেই তারা কোয়াড নিয়ে রাশিয়ার উপর একাধিক আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। অষ্ট্রেলিয়া এবং জাপানও রাশিয়ার বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছে। একমাত্র ব্যতিক্রম ভারত।
রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্ক বহু দিনের। বিশেষ করে অস্ত্রসম্ভারের ক্ষেত্রে রাশিয়ার উপর অনেকটাই নির্ভরশীল ভারত। গত কয়েক বছরে এই নির্ভরতা আরও বেড়েছে। তারই মধ্যে সীমান্ত এলাকায় চিনের দখলদারি নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে ভারত।
আরও পড়ুন: Russia-Ukraine News: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে কার কত ক্ষমতা?
সূত্রের খবর, মার্কিন প্রশাসন চায়, ইউক্রেন সংকট নিয়ে ভারত একটি স্পষ্ট অবস্থান নিক। এক মার্কিন কূটনীতিক বলেন, ভারত এখন দুটি বিষয়ের উপর জোর দিচ্ছে। প্রথমত, তারা শান্তির কথা দু দেশের উপরই চাপ বাড়াচ্ছে। একইসঙ্গে জোর দিচ্ছে কূটনৈতিক ভারসাম্যের উপর। দু দেশই যাতে আলোচনার টেবিলে বসে দ্রুত যুদ্ধ নিস্পত্তির ব্যাপারে ঐকমত্য হয়, তার জন্য সচেষ্ট ভারত। দ্বিতীয়ত, তাদের উদ্বেগ ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপদে দেশে ফেরানো নিয়ে। এ ব্যাপারে ভারত রাশিয়া এবং ইউক্রেন, দুই দেশের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় ভারতের উদ্বেগ আরও বাড়িয়েছে দুদিন আগে খারকিভে রুশ গোলাবর্ষণে এক ভারতীয় ডাক্তারি ছাত্রের মৃত্যু।
ভারতকে তার অবস্থান নিয়ে আমেরিকা শাসক ও বিরোধী দুই দলেরই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে। হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে ভাষণ দিতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট অত্যন্ত তীব্র ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে। তিনি রীতিমতো পুতিনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, রাশিয়া জানে না আমেরিকা কী করতে পারে। এই আবহেই বৃহস্পতিবার কোয়াড বৈঠক বসছে।