কলকাতা: ভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগে সোমবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্ধ ডাকল বিজেপি। সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বন্ধ ডাকা হয়েছে। বিজেপি সূত্রে খবর, বন্ধ সফল করতে আগামিকাল রাজ্যের সর্বত্র বিজেপি কর্মীরা পথে নামবে। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, তৃণমূল গায়ের জোরে পুরভোট করিয়েছে। বহু জায়গায় ভোট লুঠ হয়েছে। পুলিস বেশিরভাগ জায়গাতেই নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। ১০৮ পুরসভাতেই নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে।
বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের অভিযোগ, ‘পুরভোটে রাজ্যজুড়ে হিংসা হয়েছে। অবাধে ভোট লুঠ হয়েছে। পুলিসকে সামনে রেখে তৃণমূল গায়ের জোরে ভোট করিয়েছে। ১০৮টি পুরসভায় ৯০০টিরও বেশি অভিযোগ নথিভুক্ত হয়েছে। সে কারণেই বন্ধ ডাকা হচ্ছে।’ রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, উন্নয়নের গতি স্তব্ধ করতেই বন্ধ ডাকা হয়েছে। কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী বলেন, বন্ধ হওয়া উচিত। বন্ধের কারণ অবশ্যই সমর্থন যোগ্য। যে কোনও পার্টিরই বন্ধ ডাকার অধিকার রয়েছে।
শমীক ভট্টাচার্য বলেন, রাজ্যজুড়ে শুধুই দখলদারির ভোট হচ্ছে। প্রত্যেক পুরসভাতেই একই ছবি। গত ৭ দিন ধরে ক্রমাগত শাসকদলের রোষের মুখে পড়তে হয়েছে বিজেপিকে। ভোটের আগের রাতেও আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপি কর্মী। বুথ জ্যাম করে ভোট হয়েছে। শাসকের বিরুদ্ধে বলতে গেলেই ভেঙে দেওয়া হচ্ছে ফোন। মোবাইল না থাকার কারণে অনেক অভিযোগ সামনে আসছে না। সাংবাদিকরাও আক্রান্ত হয়েছেন। বিজেপি সাংসদদের ঘিরে একাধিক জায়গায় বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: WB Municipal Election 2022: ভোট এলেই রাজ্যে সন্ত্রাস শুরু করে শাসক দল, অভিযোগ শমীকের
আজ রাজ্যের ২০টি জেলার ১০৮টি পুরসভায় ভোট হয়েছে। সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট চলে। প্রতিটি বুথে সশস্ত্র পুলিস ছিল। রাজ্যজুড়ে মোতায়েন ছিল ৪৪ হাজার পুলিস কর্মী। ২০টি জেলায় ভোটের দায়িত্বে ছিলেন ১৪ জন ডিআইজি, ৩ জন এডিজি বা আইজি পদমর্যাদার অফিসার। অবজার্ভার, স্পেশাল অবজার্ভার, সিনিয়র স্পেশাল অবজার্ভার মিলিয়ে মোট ১৩৫ জন পর্যবেক্ষক ভোটের দায়িত্ব সামলেছেন। এর সঙ্গে ১০ জন আইএএস সিনিয়র স্পেশাল অবজার্ভারের দায়িত্ব সামলেছেন।