সারা দিনের কাজের একটা ধকল তো আছেই তার সঙ্গে ইদানীং প্রায়শই ঘিরে ধরছে গায়ে হাতে পায় ব্যথা কিংবা ক্লান্তিভাব। শীত ও বসন্তের সন্ধিক্ষণে এরকমটা অনুভব করছেন অনেকেই তাই এই সময় বাড়ি ফিরে একটু বাড়তি আরাম চাইছে শরীর সঙ্গে ধুমায়িত এক কাপ চা পা কফি হলে ফের একবার চনমনে হয়ে যায় শরীর। তবে বাড়িতে যদি এই আরামদায়ক পরিবেশটা না থাকে তাহলে ক্লান্তির রেশ থেকেই যায়।
তাই বাড়ির অন্দরসজ্জা এমন ভাবে পরিকল্পনা করতে হবে যাতে বাইরে থেকে এসে বাড়িতে পা রাখা মাত্রই সারাদিনের ক্লান্তি যেন নিমেষে উধাও হয়ে যায়। কাজে লাগাতে এই ৩টি উপায়।
থ্রো ব্ল্যাঙ্কেট
এটা শীতকালে দারুণ কাজে দেয়। তবে এই সময়ের জন্য স্যাটিন বা ক্রাশড ভেলভেটের থ্রো ব্ল্যাঙ্কেট ব্যবহার করতে পারেন। এই থ্রো ব্ল্যাঙ্কেট শুধুমাত্র আপনার অন্দরসজ্জায় অন্য মাত্রা যোগ করবে তা নয় বরং আপনার পছন্দের সোফা বা কাউচ আরও আরামদায়ক করে তুলবে। প্রচন্ড গরমে লিনেন, সুতি কিংবা বাঁশের তৈরি এই সামার ব্ল্যাঙ্কেট দিয়েও বিছানা, সোফা কিংবা কাউচ সাজিয়ে নিতে পারেন।
সেন্টেড ক্যান্ডেল আরও সুখকর করে তুলবে পরিবেশ
ল্যাভেন্ডার থেকে ভ্যানিলা, আপনার পছন্দের যে কোনও ফ্লেভারের সুগন্ধি মোমবাতি দিয়ে বাড়ি সাজিয়ে নিন। বাড়ি ফিরে মোমবাতির আলোয় ও সুগন্ধে বিশ্রাম করুন। দেখবেন শরীর মন অনেকটা ক্লান্তি মুক্ত হবে। মাথা পরিষ্কার হবে। তবে যদি সেন্টেড ক্যান্ডেল পছন্দ না হয় সেক্ষেত্রে সাধারণ মোমবাতি ব্যবহার করতে পারেন। জোড়ালো আলের বদলে মোমবাতির হালকা আলোয় ঘরের পরিবেশ বেশ আরামদায়ক হয়ে উঠবে।
রাগস বা কুশন দিয়ে ঘর সাজাতে পারেন
আজকাল হোম ডেকরে রাগস ভীষণ ট্রেন্ডিং। ঘরে পাতা থাকলে দেখতে যেমন ভাল লাগে তেমন এগুলো বেশ আরামদায়েক। তাই মনের মতো রাগস দিয়ে বাড়ি সাজিয়ে নিন। রাগস যেমন দামী আছে তেমন কম দামেরও রাগস আছে। তাই পকেটে টান পড়ারও ভয় নেই। রাগস পছন্দ না হলে কুশন ব্যবহার করতে পারেন। তবে বেশি কুশন ব্যবহার করলে অনেক সময় ঠিক উল্টোটা হয়। ভাল লাগার বদলে একেবারে জিনিসপত্রে ঠাসা ঘর দেখে দমবন্ধ হয়ে আসতে পারে। তাই কুশন রাখলে সব সময় গুছিয়ে রাখতে হবে। সেই তুলনায় রাগস নিয়ে এত ঝামেলা নেই। তবে ঘরের আকার বুঝে মানানসই রাগস কিনুন।
(ছবি সৌ: Unsplash)