কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: কিছু লোক বীরভূমের দেউচা পাঁচামি প্রকল্প নিয়ে রাজনীতি করছে। কয়েকজন খাদান মালিকও তাদের সঙ্গে জুটেছে। ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য এইসব করা হচ্ছে। এমনটাই অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এইসব বরদাস্ত করা হবে না।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেউচা পাঁচামি রাজ্যের একটা বড় প্রকল্প। রাজ্য সরকার ৩৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে। প্রায় ১ লক্ষ ছেলেমেয়ের কর্মসংস্থান হবে। সেখানে যে পরিমান কয়লা মজুত আছে তাতে আগামি ১০০ বছর রাজ্যে বিদ্যুতের কোনও সমস্যা হবে না।’ তাঁর অভিযোগ, এত বড় প্রকল্প বানচাল করার চক্রান্ত হচ্ছে। সেখানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষকে ভুল বোঝানো হচ্ছে। চলছে নানা অপপ্রচার।
স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন, কোনও অপপ্রচারে কান দেবেন না। আমরা জোর করে কারও জমি নেব না। মুখ্যমন্ত্রীর দাবি, দেউচা পাঁচামির জন্য যে ধরনের প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে তা ভারতের আর কোনও রাজ্যে নেই। ইতিমধ্যেই অনেকে স্বেচ্ছায় জমিও দিয়েছেন। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে প্যাকেজের বিস্তারিত বিবরণ দেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।
ইতিমধ্যেই দেউচা পাঁচামিতে প্রকল্পের বিরোধিতায় আন্দোলন শুরু হয়েছে। সেখানকার বাসিন্দা অনেক আদিবাসী পরিবার জমি দিতে চাইছে না। মূলত বামেদের উদ্যোগে প্রকল্প বিরোধী একটি মঞ্চও গড়ে উঠেছে। সেই মঞ্চ সম্প্রতি কলকাতা থেকে পদযাত্রা করে দেউচায় যাওয়ার চেষ্টা করে। অভিযোগ, বীরভূমে মঞ্চের কর্মী সদস্যদের শাসকদলের তরফে হুমকি দেওয়া হয়। বোলপুরের একটি লজে নেতাদের উপর হামলারও অভিযোগ ওঠে। এর আগেও বেশ কয়েকবার শাসকদলের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে প্রকল্প বিরোধী আন্দোলনকারীদের।
আরও পড়ুন- Anis Khan: আনিস খান হত্যার তদন্ত কতদূর এগলো? জবাব এড়ালেন ডিএসপি
সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু এই রাজ্যের লোকজনই নয়। ঝাড়খণ্ড থেকে লোকজন এসেও এই প্রকল্পের বিরোধিতা করছে। সবটাই হচ্ছে ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক স্বার্থে। যাঁরা এসব করছেন, তাঁদের বলছি, এক লক্ষ ছেলেমেয়েকে চাকরি থেকে বঞ্চিত করবেন না। এর দায় কিন্তু পরে আপনাদেরই নিতে হবে।