আলিপুরদুয়ার: দীর্ঘ দুবছর পর বুধবার থেকে রাজ্যে খুলল প্রাথমিক স্কুল (School Opening)। কিন্তু স্কুল খুললেও শ্রেণিকক্ষে বসে ক্লাস করতে পারল না খুদে পড়ুয়ারা। হাতির হানায় ভেঙে গুঁড়িয়ে গিয়েছে শ্রেণিকক্ষ। বারান্দায় ও মাঠে বসেই ক্লাস হল আলিপুরদুয়ারের বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় (Alipurduar School) ও শিশু শিক্ষা কেন্দ্রগুলিতে। মেরামতের অভাবেও বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ ভেঙে রয়েছে বহুদিন ধরে।
হাতির হানায় ভেঙে গিয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলার কালচিনি ব্লকের নিমতি দোমহনী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ। বাধ্য হয়ে স্কুলের বারান্দায় ক্লাস করাচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বুধবার বিদ্যালয় পর্যবেক্ষক দেবযানী চৌধুরী ও জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্ষদের সভাপতি পরিতোষ বর্মন পরিদর্শনে আসেন। তাঁরা ঘুরে দেখেন এবং তা দ্রুত মেরামত করার কথা বলেন।
এ বিষয়ে পরিতোষ বর্মন জানান, কোন স্কুলে কী অবস্থা রয়েছে তা পরিদর্শনেই এসেছিলাম। তার মধ্যে নিমতির দোমহনী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসঘর হাতির হানায় ভেঙে গিয়েছে। যা আমরা দ্রুত মেরামত করে পঠন-পাঠনের উপযুক্ত করে দেব। তিনি জানান, যতদিন ক্লাস পুনরায় তৈরি হচ্ছে না, ততদিন আমরা বাচ্চাদের বিকল্প ব্যবস্থা করে দেব।
আরও পড়ুন: Firhad Hakim: পার্থর বার্তা কাজে আসল না, নির্দলদের ৫ দিন সময় দিলেন ফিরহাদ
তবে বাইরে ক্লাস করানোয় চিন্তায় বেশ কিছু অভিভাবকদের স্কুল চত্বরেই বসে থাকতে দেখা যায়। এই বিষয়ে সরোজ মনি ওঁরাও বলেন, পাশেই বক্সার জঙ্গল। এরমধ্যে বাইরে ক্লাস হচ্ছে। এরজন্য কিছুটা ভয়ে রয়েছি আমরা। এছাড়াও, বিকল্প হিসেবে যদি অন্য কোনো স্কুলে বাচ্চাদের ক্লাস করানো হয়, সে ক্ষেত্রে আমাদের অভিভাবকদের অসুবিধা হবে। কারণ এখানে বেশিরভাগ অভিভাবকই দিনমজুর। দূরে স্কুল হলে সমস্যা হবে আমাদের।
অপরদিকে ভুটান সীমান্ত জয়গাঁ গুয়াবাড়ি শিশু শিক্ষা কেন্দ্র শ্রেণিকক্ষ কয়েক মাস আগে ভেঙে গিয়েছে। সেখানে ও স্কুল ঘরের বাইরে চলছে ক্লাস।